গত ১ মাস ধরে রাজ্যজুড়ে মানুষের মতামত নিয়ে ওই সঙ্কল্প পত্র তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। সঙ্কল্পপত্রে সাধারণ মানুষের জন্য নানা কর্মপরিকল্পনার পাশাপাশি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে বাংলার কৃষকদের প্রতি। পিএম কিষাণ সম্মান নিধির প্রকল্পে আগের তিন বছরে ৬ হাজার টাকা করে ৭৫ লক্ষ কৃষককে ১৮ হাজার করে বকেয়া টাকা প্রথমেই দেওয়া হবে বলে দাবি করেছেন অমিত শাহ। তার পরে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ৬ হাজার টাকা এবং রাজ্যের প্রকল্পের ৪ হাজার মিলিয়ে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
advertisement
অন্যদিকে, কয়েকদিন আগেই নিজেকে 'কৃষক বন্ধু' হিসেবে দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেসও নিজেদের ইশতেহার প্রকাশ করেছে। সেখানেও কৃষকদের জন্য দরাজ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, 'বার্ষিক ১০,০০০ টাকা একর পিছু সহায়তা করা হবে প্রান্তিক কৃষকদের। আর এটা বাংলার সকল বসবাসকারীদের প্রতি আমার প্রতিজ্ঞা যে আপানদেরকে দেওয়া প্রতিটি প্রতিশ্রুতি আমি পূরণ করব।' ভোট প্রচারে একাধিক বার বাংলায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'কিষাণ সম্মান নিধি' রাজ্যে চালু করতে না দেওয়া নিয়ে বিঁধেছেন। মোদির দাবি, কৃষকদের জন্য কথা বললেও, কাজের বেলা মমতার সরকার কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে পর্যন্ত আটকে রেখেছে। কারণ, যদি এই টাকা কৃষকদের কাছে চলে যায় এবং মোদির জয়জয়কার হয়, তাহলে তো তাদের রাজনীতিই শেষ হয়ে যাবে। তাই তারা কৃষকদের পকেটে টাকা পৌঁছতে দেয়নি। যদিও বরাবর মোদির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে, কেজি থেকে পিজি পর্যন্ত মেয়েদের পড়াশোনা পুরোপুরি বিনামূল্যে করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন অমিত শাহ। পাশাপাশি সরকারি পরিবহণে মহিলাদের পুরোপুরি বিনামূল্যে যাতায়াতের সুবিধা দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।