ইতিমধ্যেই বিধানসভায় এই বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে বিধানসভায়৷ আজও এই বিষয়ে বিশদে আলোচনা চলবে৷ যদিও বিরোধী বিজেপি শিবিরের দাবি, যে আইন সংসদে অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে তা নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব এনে বিরোধিতা করা যথাযথ কোনও ভাবেই হতে পারে না। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, রাজনৈতিক কারণেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতা নিয়ে আলোচনা করছে রাজ্য৷
advertisement
আইনবিদ, সমাজকর্মী এবং সাধারণ নাগরিকদের মতামত নিয়ে কেন্দ্রের তিন নতুন ফৌজদারি আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনের দাবিতে রাজ্য বিধানসভায় সরকারপক্ষের আনা এক প্রস্তাবের উপর বৃহস্পতিবার আলোচনার সূচনা হয়েছে। প্রথম দিনের আলোচনায় অংশ নিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তিন নতুন ফৌজদারি আইনকে কালা কানুন বলে তীব্র কটাক্ষ করেন।
তিনি বলেন, ‘‘এই আইন রাজ্যের একতিয়ারে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের পথ প্রশস্ত করার একটি প্রচ্ছন্ন মডেল। যা দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে নষ্ট করবে। তিনি অভিযোগ করেন বিরোধীদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই ১৪৭ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করে গায়ের জোরে কেন্দ্রীয় সরকার এই তিন আইন প্রণয়ন করেছে। আইন কমিশনকেও তা পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়নি।’’
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ কাণ্ডে বারবার তলব! মণীশ জৈনকে সরানো হল স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিবের পদ থেকে
তিনি আরও বলেন, ‘‘পুরনো ভারতীয় দণ্ডবিধি বা ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের অনেক ধারাই হুবহু নতুন আইনে যুক্ত করা হয়েছে।’’ বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের ছায়া মুছে ফেলতে আইন থেকে ইন্ডিয়া শব্দবন্ধ মুছে ফেলতেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এই উদ্যোগ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এই নয়া আইনের একাধিক অংশের আপত্তি কেন্দ্রের বিলের খসড়া তৈরির সময়েই আপত্তি আকারে জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এছাড়া, এই বিষয়ে কেন্দ্রকে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল।