রাজভবনের এই বিবৃতির বিষয়ে জানতে পেরে অবশ্য উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, “আমার পক্ষে দায়িত্ব নেওয়া উচিত নয়। কারণ অধ্যক্ষ কলকাতায় রয়েছেন। রাজ্যপালের কথা শুনে আমি শপথ পড়ালে অধ্যক্ষকে অসম্মান করা হবে। এটা কাম্য নয়।” কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, অধ্যক্ষ অনুপস্থিত থাকলে বা অসুস্থ হলে সেক্ষেত্রে ডেপুটি স্পিকার ওই দায়িত্ব পালন করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: চিনকে নিয়ে চিন্তা বাড়ছে সব দেশের! কারণ নাকি একটি মাইক্রোওয়েভ! ঘটনা শুনলে পায়ের তলার মাটি সরে যাবে
কিন্তু এখানে পরিস্থিতি তেমনটা নয়। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “আনুষ্ঠানিকভাবে রাজভবনের তরফে আমায় কিছু জানানো হয়নি। যেমন প্রস্তুতি আছে তেমনই ব্যবস্থা হবে।” আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন উপাধ্যক্ষও৷ আজ বিধানসভার অধিবেশনে তিনি যোগ দেবেন৷ যদি সচিবালয়ে রাজ ভবনের তরফে কোনও চিঠি এসে থাকে, তাহলে তার জবাব তিনি দিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠ মহলে।
বিধায়কদের শপথের দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকারকে দেওয়া নতুন নয়। এর আগে বিধানসভা উপনির্বাচনে বালিগঞ্জ থেকে জয়ী তৃণমূলের বাবুল সুপ্রিয়কে শপথ পড়ানোর জন্য তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও ডেপুটি স্পিকারের উপর ভার ন্যস্ত করেছিলেন। যদি সেসময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় উপস্থিত থাকায় উপাধ্যক্ষ তাঁকেই শপথ পড়ানোর অনুরোধ করেন এবং অধ্যক্ষই সেই কাজ করেছিলেন।
তবে দুই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি শুক্রবারও বিধানসভা আসবেন৷ তবে শপথ না হওয়ায় তারা যোগ দিতে পারবেন না অধিবেশনে।