জগদীপ ধনখড়ের পর রাজ্যে পূর্ণ সময়ের রাজ্যপাল নিযুক্ত হন কেরালার বাসিন্দা প্রাক্তন IAS সিভি আনন্দ বোস। জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পর অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে কিছুদিন বাংলায় রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলান লা গণেশন। গত নভেম্বর মাসে সি ভি আনন্দ বোস পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত হন।
আরও পড়ুন: ওরাকল স্পিকস ৫ জানুয়ারি; দেখুন ভাগ্যফল, জানুন কাল কোন চিহ্ন বয়ে আনছে সৌভাগ্য
advertisement
প্রসঙ্গত, সি ভি আনন্দ বোসের কর্মজীবন শুরু হয় কলকাতা দিয়ে। ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে কলকাতায় নিযুক্ত ছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। সেই ব্যক্তিই আজ রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক ও রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন আনন্দ। এবার সেই সি ভি আনন্দ বোসের নিরাপত্তা বাড়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বলাবাহুল্য, কেরালার কোয়াট্টাম অঞ্চলে তাঁর জন্ম। সিভিল সার্ভেন্ট সি ভি আনন্দ বোস একজন লেখকও বটে। ভারত সরকারের সচিব, মুখ্য উপদেষ্টা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। রাষ্ট্রসংঘের হ্যাবিট্যাট গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যও বটে। মুসৌরির লাল বাহাজুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি থেকে পড়াশোনা করেছেন সি ভি আনন্দ বোস। জওহরলাল নেহরুর ফেলোশিপও পেয়েছেন তিনি। তিনি একাধিক রাজ্যের জেলাশাসক, মুখ্যসচিব হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মরশুমের শীতলতম দিন আজ, কলকাতায় তাপমাত্রার বড় পতন! শীতের কাঁপন জেলায় জেলায়
পাশাপাশি শিক্ষা, কৃষি, বন, শ্রম দফতরে আধিকারিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বরাবরই প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বনিবনা হত না। একাধিক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক সিদ্ধান্তের বিপক্ষে সরব হয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল সরকারের পক্ষ থেকেও জগদীপ ধনখড়ের বিরোধিতা করা হয়। একাধিকবার রাজ্যপাল পরিবরর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছেও আবেদন করেছিলেন রাজ্যের একাধিক নেতা।
শেষমেশ জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি পদে নিযুক্ত হওয়ার পর অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে লা গণেশনের পর এ রাজ্যের স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে সি ভি আনন্দ বোস দায়িত্বভার নেন। যদিও সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা শাসকদলের সম্পর্ক বর্তমানে ভাল বলে মনে করলেও ওয়াকিবহল মহলের একাংশের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের 'সুসম্পর্ক' ভাল হওয়ায় বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখছে না বঙ্গ বিজেপির একাংশ। আর সেই কারণেই কি বুধবার রাজভবনে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে একাধিক নালিশ করে পাল্টা চাপ সৃষ্টির কৌশল নিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা? এই প্রশ্ন নিয়েও শুরু হয়েছে জোর চর্চা।