মৌসুনি। নামটা ঘিরেই এক অবিশ্রান্ত রোম্যান্টিকতা। আদুরে.....অথচ বড্ড একা। তবু স্বাবলম্বী। যাকে পরতে পরতে শুধু ভালোবাসতে ইচ্ছে করবে। সুন্দরবন উপকূলে এক প্রায় নির্জন দ্বীপ। এক কথায়, ভার্জিন।
বঙ্গোপসাগরের কোলে এক ফালি জমির নাম মৌসুনি। সকাল থেকে বিকেল, এখানে যেন সময়ও হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। একটু জিরিয়ে নেয়।
নামখানার হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীর উপর সেতু তৈরি হতেই বকখালির পাশাপাশি মৌসুনির আকর্ষণ বাড়ছে। থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে মৌসুনীতে। দ্বীপ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বেশ কয়েকটি রিসর্ট। তাতে তাঁবুর পাশাপাশি রয়েছে মাড -হাউস। সোজা বাংলায়, একচালা মাটির কুঁড়েঘর। খড়ের চাল, চাঁছা বাঁশের তৈরি জানলা, মাটি লেপা দেওয়াল। সহজসরল, অথচ আকর্ষণীয়। এসি. সোফা, টিভির লাক্সারি নেই ঠিকই। আছে এক বুক তাজা নিশ্বাস।
advertisement
ক্যাম্প চত্বরে দোলনা। অ্যাডভেঞ্জারে ছোঁয়া দিতে হ্যামক। সমুদ্রে দামাল হুটোপুটির পর চুটিয়ে পেট-পুজো। একটা আপ্যায়ন-মায়ায় জড়িয়ে থাকা যেন।
ক্যাম্পে থাকার খরচ---
--তাঁবুতে থাকার খরচ মাথাপিছু হাজার থেকে বারশো টাকা
--মাটির ঘরের খরচ মাথাপিছু বারশো থেকে পনেরশো টাকা
--এই টাকার মধ্যে থাকা-খাওয়ার এলাহি আয়োজন
গ্রামের সহজ-সরল জীবনের কিছুক্ষণের অতিথি হয়ে কাটতে পারে সপ্তাহের শেষটা। কিংবা শহুরে পুজোর হুল্লোরের মাঝে দু-একদিনের শান্তির ঠিকানা হতে পারে বালিয়াড়া। এখানে গ্রামের পুজোর স্বাদও মিলবে। আসলে মৌসুনী জানে মন হারানোর ঠিকানা।
কিভাবে যাবেন---
---শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ট্রেনে নামখানা
--নামখানা থেকে ম্যাজিক ভ্যান বা টোটোয় হাতানিয়া-দোয়ানিয়া সেতু পেরিয়ে সাত মাইল
--সাত মাইলে বাগডাঙা খেয়াঘাট থেকে নৌকায় চিনাই নদী পেরিয়ে বালিয়াড়া
--বালিয়াড়া থেকে টোটো পৌঁছে দেবে নতুন স্বপ্নের দেশে
--গাড়িতে গেলে ১১৭ নং জাতীয় সড়ক ধরে বাগডাঙা ঘাট
---ঘাটে গাড়ি রেখে নদী পেরিয়ে মৌসুনি দ্বীপ