হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ভারী বৃষ্টি হতে চলেছে (Heavy Rain Alert) কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায়। এর মধ্যে দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় লাল সর্তকতা রয়েছে। কমলা সতর্কতার রয়েছে হাওড়া৷ হুগলি ঝাড়গ্রাম, উত্তর ২৪ পরগনার জন্য। হলুদ সর্তকতা রয়েছে বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান এবং কলকাতার জন্য।
advertisement
মঙ্গলবার সন্ধ্যে থেকেই কলকাতায় দমকা হাওয়া বইতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শুরু হয় বৃষ্টি। রাতভর ভারী বৃষ্টি চলে কলকাত ও তার পার্শবর্তী অঞ্চলগুলিতে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস (Weather update) আজ সকালে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলিতে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। তার সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। কোথাও কোথাও ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের দেওয়া বয়ান অনুযায়ী বুধবার বিকেলের দিকে কিছুটা হলেও বৃষ্টির তীব্রতা কমবে।
প্রসঙ্গত এই ভারী বৃষ্টির প্রভাবে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রস্তুতি রয়েছে কলকাতা পুলিশের দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের। সবমিলিয়ে তৈরি হয়েছে অন্তত ২২ টি টিম।
আরও পড়ুন-উৎসবের ভিড়েই কোভিডের আশঙ্কা, পুজোর মুখে ফের গাইডলাইন জারি কেন্দ্রের
আবহাওয়ার এই পরিস্থিতির কারণে হাওয়া অফিসের বুলেটিনে আজ ২৯ সেপ্টেম্বর মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে না করা হয়েছে। এর আগে জমা জলে বেশ কয়েকটি অনভিপ্রেত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এই শহরে। সেই ধরনের মৃত্যু এড়াতে এবার বাড়তি সর্তকতা নিচ্ছে রাজ্য। তাছাড়া দুর্যোগের পরিণতির কথা মাথায় রেখে। আগাম খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য সামগ্রী কলকাতার বিভিন্ন বরোতে মজুত করেছে কলকাতা পুরসভা।
প্রসঙ্গত উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থিত ঘূর্ণাবর্ত স্থলভাগে প্রবেশ করে গতকালই। ক্রমে তা শক্তিশালী নিম্নচাপে পরিণত হয়। পশ্চিমবঙ্গ উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে এই নিম্নচাপ ঝাড়খণ্ড অভিমুখী।