১৯৯৩ সালে সচিত্র পরিচয়পত্রে ভোটের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ এ, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ইভিএম সরিয়ে ব্যালটে ভোটের দাবিতে সরব হলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা। কেন তিনি এই দাবি তুলছেন, তার ব্যাখ্যাও দিলেন।
তিনি বলেন,‘‘১৯-এর ভোটে যা হয়েছে সেটা হিস্ট্রি নয়, মিস্ট্রি। কী ভাবে হল জানি না। যা বলল, সেই সংখ্যাটাই মিলে গেল। ইভিএম চাই না। ব্যালট চাই। পঞ্চায়েত, মিউনিসিপাল এবং করপোরেশনের ভোট হবে ব্যালটে। আমেরিকা, ইউকে, জাপান......ইত্যাদি দেশে তো ব্যালটেই হয়। ইভিএমে হয় না’’
advertisement
এ বার লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি ২ থেকে বেড়ে ১৮। আর তৃণমূল ৩৪ থেকে কমে ২২। বিজেপির টার্গেট একুশের বিধানসভা ভোট। পালটা কোমর বাঁধছে তৃণমূলও। এই পরিস্থিতিতে এ দিন রাজ্যের দুই বিরোধী দল কংগ্রেস ও সিপিএমকে বিজেপির সঙ্গে এক আসনে বসিয়ে, মমতা আক্রমণ যেমন করলেন মমতা, তেমন বার্তাও দিলেন।
এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন,‘‘সিপিএম-কংগ্রেসকে বলব যে ডালে বসে, সেটা কেটো না। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই কর। তৃণমূলকে সমর্থন করতে হবে না। তৃণমূল তোমাদের সমর্থন চায় না...সিপিএম-কংগ্রেসের ভাল লোক থাকলে তাদের বোঝান, তাঁদের নিয়ে কাজ করুন৷’’
লোকসভা ভোটের আগে, কংগ্রেস-বাম-সহ বিজেপি বিরোধী সবদলকেই, জাতীয় ক্ষেত্রে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, রাজ্য রাজনীতির বাধ্যবাধকতা থেকে এ রাজ্যে কংগ্রেস-সিপিএম, দুই-ই তৃণমূলের প্রতিপক্ষ। তাই মমতা তাদের নিশানা যেমন করলেন, তেমনই প্রধান শত্রু বিজেপির বিরোধিতায় তাদের সরব হতেও বার্তা দিলেন।