মঙ্গলবার বর্ধমানের মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের মাঠে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলাকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা প্রাপ্তদের পরিষেবা প্রদান করেন তিনি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলা ও বাঙালিদের প্রতি নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ করেন তিনি।
advertisement
সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা ফিরে আসুন। আপনাদের জন্য পোর্টাল করে দেওয়া হয়েছে। আসার জন্য আপনাদের পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এক বছর আপনাদের প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। খাদ্যসাথী কার্ড করিয়ে দেওয়া হবে। তাতে বিনা পয়সায় রেশনের খাদ্যসামগ্রী মিলবে।”
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়ে দেওয়া হবে। পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা বিনা পয়সায় মিলবে। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার কোনও খরচ লাগবে না। তাছাড়া কর্মশ্রী প্রকল্পে কাজ দেব আমরা। যে যে কাজে দক্ষ তাঁকে সেই কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। স্কিল ট্রেনিং দেব আমরা।
মমতা বলেন, “আমাদের রাজ্যেও বাইরের দেড় কোটি বাসিন্দা রয়েছে। তাঁদের আমরা মারধর করি না, ভালোবাসি। অথচ বাংলার বাইরে বাঙালিদের হোটেলে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না, পড়ুয়াদের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। শুনলাম, মুম্বইতে যাঁকে মারধর করা হয়েছিল তিনি মারা গিয়েছেন।”
আরও পড়ুন: বিষধর সাপের ‘বিষ’ মুহূর্তে নামায় কোন গাছের ‘পাতা’ জানেন…? গ্যারান্টি, চমকে দেবে ‘নাম’!
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভাষা সন্ত্রাস মানবো না। বাংলার অপমান সহ্য করব না। মনে রাখবেন, বাংলা আন্তর্জাতিক ভাষা। নাসা থেকে ভাষা সবেতেই বাঙালির জয়জয়কার। বিশ্বের বিখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠানে বাঙালিরা তাদের মেধার জোরে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছে।”
সভায় রাজ্যের তিন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্বপন দেবনাথ ও সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন সাংসদ কীর্তি আজাদ ও সাংসদ শর্মিলা সরকার ও জেলার বিধায়করা। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের পদস্হ আধিকারিকরাও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।