তাঁদের দাবি, স্কুল আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে নতুন সেশন শুরু করুক। জ্বর,সর্দি,কাশি হলে স্কুলে যাওয়া মানা।পরীক্ষার সময় হলে,পরে স্কুল সেটা বিবেচনা করবে। অভিভাবকরা এই বিষয়টি নিয়েই নারাজ। তাঁরা অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করবেন বলে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। মানিকতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। কিন্তু প্রিন্সিপাল তাঁর নিজের জায়গায় স্থির থাকেন। তিনি কারও সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করেননি। মৌসুমী ঘোষাল নামে এক অভিভাবকের বক্তব্য,'বেশ কিছু মেয়ের কোভিড হয়েছিল। কেউ এক মাস আগে কোভিড থেকে উঠেছে। অনেকের আবার শ্বাস কষ্ট আছে। তাই এখন অনলাইন পরীক্ষা নিলে ভালো হয়।'
advertisement
আরও পড়ুন- ৫০০০ পড়ুয়াকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে শনিবারই! জোর কদমে প্রস্তুতি রাজ্যের
আর এক অভিভাবক সুশান্ত রায়চৌধুরী বলেন যে, তাঁর মেয়ে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা মাস্ক পরে থাকতে পারবে না। হাঁপিয়ে উঠবে। এই বছরের কয়েকটা দিন অনলাইনে ক্লাস (Online classes)ও পরীক্ষা নিলে খুব ভালো হয় বলে দাবি করছেন তিনিও। অনলাইন ও অফলাইন পরীক্ষার বিষয়ে অভিভাবকদের মধ্যে মতামত চেয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেখানে নবম শ্রেণির ১৩৩ জন ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকদের মধ্যে ৮৮ জন চেয়েছেন অনলাইন। আর অফলাইন পরীক্ষার চেয়েছেন ৪৫ জন অভিভাবক। অর্থাৎ অনলাইন পরীক্ষার পক্ষেই মত দিয়েছেন অধিকাংশ অভিভাবক। ওই স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে,তিনি কোনও ভাবে মুখ খুলতে চাননি। তবে পথ চলতি সাধারণ মানুষদের বক্তব্য, সরকার স্কুল খুলেছে। তাতে সবাই খুশি।
শঙ্কু সাঁতরা
আরও পড়ুন- খোলা ম্যানহোলের নজরদারিতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা, দুর্ঘটনা আটকানো যাবে কি?