প্রসঙ্গত হাইকোর্ট থেকে বিশেষ সিবিআই আদালতে নিয়োগ দুর্নীতিতে সরকারি আধিকারিক ও কর্মী যোগের কথা বলে আসছে সিবিআই। এমন কি কোন-কোন আধিকারিকের বয়ান রেকর্ড হয়েছে জানতেও চেয়েছে আদালত। সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে সিবিআইকে।
এবার সিবিআইয়ের হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিবিআই সূত্রে দাবি, এজেন্ট মারফত সরাসরি টাকা পৌঁছেছে সরকারি আমলা আধিকারিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এই টাকা দুর্নীতির টাকা বলেই দাবি করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের আরও দাবি, এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে, সাত থেকে আটজন সরকারি আধিকারিক যাঁরা বিকাশ ভবনে কর্মরত, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে চাকরি বিক্রির টাকা। শুধুই কি সরকারি আধিকারিক না কি তাদের পরিচিতদের অ্যাকউন্টও ব্যবহার করা হয়েছে? খতিয়ে দেখছে সিবিআই। সূত্রের খবর, এজেন্ট মারফত হস্তান্তরিত হওয়া টাকার পরিমাণ কোটি ছাড়িয়েছে।
advertisement
দুর্নীতি মামলায় একাধিক এজেন্ট, সাব এজেন্টকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের মধ্যে রয়েছে ১৫ জন এজেন্ট, যাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরাসরি পৌঁছেছে সরকারি আধিকারিকদের অ্যাকাউন্টে, এমনটাই দাবি সিবিআই-এর।
কিন্তু কাদের নির্দেশে টাকা পাঠানো হয়েছে? খোঁজ শুরু করেছে সিবিআই। এমন কি হাতে এসেছে টাকা হস্তান্তরের নথিও, যা আগামী দিনে এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নথি বলেই দাবি তদন্তকারী সংস্থার।
এজেন্টদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন সরকারি আধিকারিকের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। প্রয়োজনে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।