যদিও এই চিঠি পাঠানোর পর এই রাজ্যগুলি পুলিশ পাঠাবে কি না তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট হতে পারেনি নবান্নের শীর্ষ মহল। সূত্রের খবর, গোটা বিষয়টি নজরদারি করছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিব স্বয়ং। রাজ্যে পুলিশ আনা নিয়ে মূলত ওই পাঁচ রাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে চলছেন নবান্নের এই দুই কর্তা। মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছিলেন অন্যান্য রাজ্য থেকে পুলিশ চাওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: অভিষেকের যেমন কথা-তেমন কাজ! কেশপুরের ২ কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণায় বিরাট চমক তৃণমূলের
এক দফায় নির্বাচনের জন্য রাজ্যে যে পরিমাণ বুথ রয়েছে তা দিয়ে সব বুথে পুলিশ দেওয়া সম্ভব নয় তা কার্যত মেনে নিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র দফতরের আধিকারিকেরা। যদিও এখনও পর্যন্ত পাঁচটি রাজ্যের তরফ থেকে চিঠি আসেনি পুলিশ পাঠানো হবে বলে। এর আগেও চারটি রাজ্যকে পুলিশকে চিঠি দিয়েছিল নবান্ন। তার মধ্যে দুটি রাজ্য নবান্নের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। ফলত এবার পাঁচটি রাজ্য থেকে পুলিশ নিয়ে এলে প্রয়োজনে সেই ঘাটতি মেটানো যাবে বলেই মনে করছেন স্বরাষ্ট্র দফতরের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: ‘বিনা নির্বাচনে পঞ্চায়েত জিততে হোম ডেলিভারি করছে তৃণমূল’, ভোটের আগে মারাত্মক অভিযোগ লকেটের
নবান্ন সূত্রে খবর, ওই পাঁচটি রাজ্যের থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে তারা কত সংখ্যক পুলিশ পাঠাতে পারবেন। তার ওপরই নির্ভর করছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুলিশের মোতায়েন বলেই সূত্রের খবর। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বকে কেন্দ্র করে যে অশান্তির ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে পুলিশকে আরও সতর্ক থাকার পাশাপাশি কোন অশান্তির ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বৈঠকে ডিজি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়