রাজ্য পুলিশকে নিয়ে বিরোধীদের নানা অভিযোগ। তা মাথায় রেখেই ষষ্ঠ দফার ভোটে কৌশল বদল করেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। তাঁর নির্দেশেই,
- কুইক রেসপন্স টিমের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসার
- কুইক রেসপন্স টিমে ব্রাত্য রাজ্য পুলিশ
- প্রতিটি থানা এলাকায় ২ কুইক রেসপন্স টিম
- কুইক রেসপন্স টিমের দায়িত্বে ৮ জওয়ান
advertisement
কিন্তু, রবিবার, বেলা গড়াতেই ব্যর্থ হল বিবেক দুবের কৌশল। বুথের বাইরে একাধিক অশান্তির ঘটনা। ময়দানে নেমে তা ঠেকাতে হিমশিম খেতে হল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। কুইক রেসপন্স টিমে রাজ্য পুলিশ নেই। ফলে, পথ চিনে পৌঁছতে পারল না কেন্দ্রীয় বাহিনী। অনেকক্ষেত্রে, ঘটনাস্থলই চিহ্নিত করতে পারেনি বাহিনী।
শালবনির ২৪১ নং বুথে বিজেপিকে ভোট দিতে বলার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল এজেন্টকে বের করে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।
খেজুরির মালদায় বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায়। তা থামাতে গিয়ে বাড়িতে ঢুকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে।
পুরুলিয়ার বলরামপুরের মিশিরডিতে মহিলা ভোটারকে মারধরের অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে বাহিনী। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে লাঠিচার্জও করা হয়।
বড়জোড়ায় ২২৬ নম্বর বুথে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। সেখানকারই ভট্টপাড়ায় অবশ্য ভিন্ন ছবি। বহিরাগতরা ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছিল বলে অভিযোগ। বাহিনীর হস্তক্ষেপে ফের বুথমুখী হন স্থানীয় বাসিন্দারা।
দফায়-দফায় অশান্তি নিয়ে সিইও-র দফতরের কাছে রিপোর্ট চায় কমিশন। সূত্রের খবর, সিআইও জানিয়েছে, বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের নির্দেশেই এই নয়া কৌশল। যদিও, দিনের শেষে বিজেপির তরফেও সেই কৌশল ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ।