অস্ট্রেলিয়ার সরকার কুইন্স হেলথ জনস্বাস্থ্য বিভাগকে ঘটনাটির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনাকে ‘বায়োসিকিউরিটি প্রোটোকলের বড় ঐতিহাসিক লঙ্ঘন’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছে সে দেশের সরকার।
সূত্রের খবর, ২০২৩ সালের আগস্টে কুইন্সল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য ভাইরোলজি ল্যাবরেটরি থেকে হেন্দ্রা ভাইরাস, লাইসাভাইরাস এবং হান্টাভাইরাস সহ একাধিক সংক্রামক ভাইরাসের প্রায় ৩২৩টি শিশি চুরি হয়েছিল। হেন্দ্রা একটি জুনোটিক (প্রাণী থেকে মানুষ) ভাইরাস যা শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যায়।
advertisement
হেন্ড্রা একটি জুনোটিক ভাইরাস, অর্থাৎ, প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ায়। এই ভাইরাস এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়াতেই দেখা গিয়েছে। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, হন্টাভাইরাস থেকে গুরুতর অসুস্থতা তৈরি হতে পারে। যা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হয়। স্যাম স্করপিনো জানিয়েছেন, হন্টাভাইরাস সংক্রমনের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ১৫ শতাংশ। এটি কোভিড-১৯-এর তুলনায় প্রায় ১০০ গুণ বেশি প্রাণঘাতী। অন্য ভাইরাসগুলি তীব্রতার দিক থেকে কোভিডের সমান বলা যায়।
লাইসাভাইরাস থেকে হতে পারে জলাতঙ্ক। সময়মতো চিকিৎসা না হলে এই সংক্রমণ মানুষের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে। তবে, প্যাথোজেনগুলির ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সংক্রামিত হওয়ার ক্ষমতা সীমিত। তাই, মহামারির ঝুঁকি কম। প্রসঙ্গত, নিখোঁজ সংক্রামক নমুনাগুলি চুরি বা ধ্বংস করা হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এবং ‘সাধারণ মানুষের ঝুঁকির কোন প্রমাণ নেই।’ অস্ট্রেলিয়ার সরকার আপাতত বিষয়টি নিয়ে নবম পর্যায়ে তদন্ত শুরু করেছে।