কখনও বাড়ি থেকে বসে শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক পোস্টে শিক্ষক নিয়োগের দাবি নিয়ে প্রতিবাদ, আবার কখনও বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে দেওয়াল লিখে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবি, কখনও ফেসবুকে গণ লাইভ করে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন উচ্চ প্রাথমিকের প্রার্থীরা।
advertisement
লকডাউন চলাকালীন এভাবেই আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন উচ্চ প্রাথমিকে কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী। এবার তাই বুধবার 'ভার্চুয়াল অনশন' শিক্ষক নিয়োগের দাবি নিয়ে চালিয়ে গেলেন উচ্চ প্রাথমিকের কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী। অন্যদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশন যাতে দ্রুত উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ মামলার শুনানি হয় তার জন্য আবারও কলকাতা হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছে বলেই স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর। যদিও এ বিষয়ে কমিশনের কোনও আধিকারিক মন্তব্য করতে চাননি।
২০১৪ থেকে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। দীর্ঘ ৬ বছর হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত নিয়োগ-প্রক্রিয়ার কার্যত গতি হারিয়েছে। গতবছর পুজোর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশন উচ্চ প্রাথমিকের মেধা তালিকা প্রকাশ করেছিল। যদিও মেধাতালিকায় একাধিক অস্বচ্ছতা ও গরমিলের অভিযোগ নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ আদালতের দ্বারস্থ হয়। তার জেরে উচ্চপ্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
স্থগিতাদেশের ফলে পুরোপুরি ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে যায়। ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্যপদ রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকে। একদিকে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে চলা লকডাউন নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কার্যত অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে। যদিও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন কলকাতা হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানায় উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মামলা দ্রুত শুনানির জন্য।
অন্যদিকে এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য উচ্চ প্রাথমিকে চাকরিপ্রার্থীদের তরফেও কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী প্রার্থীরা। এবার তারই মধ্যে বুধবার দিনভর ভার্চুয়াল অনশন চালিয়ে গেলেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়ে।
অন্যদিকে, নবম- দশম ও একাদশ-দ্বাদশ স্তরে নতুন করে নিয়োগের জন্য আন্দোলন শুরু করছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। এ ক্ষেত্রে চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, অনেকেই বিএড পাস করে রয়েছেন কিন্তু রাজ্যের তরফে নতুন করে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি না করার ফলে তাদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, উচ্চ প্রাথমিকের মামলার দ্রুত শুনানি শেষ হলেই তৎপরতার সঙ্গে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে শেষ করা যায় সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। যদিও তা পুজোর আগে শেষ করা সম্ভব নাকি তা নিয়ে অবশ্য সংশয় থাকছেই।
SOMRAJ BANDOPADHYAY
