TRENDING:

আগামিকাল বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান পালন ফোর্ট উইলিয়ামে

Last Updated:

বাংলাদেশ থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছেন ৩০ জন বিশেষ অতিথি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: আগামিকাল, বুধবার ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনার বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী। সেই উপলক্ষ্যে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠানের। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন রাজ্যপাল। বাংলাদেশ থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছেন ৩০ জন বিশেষ অতিথি।
advertisement

১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ ৷ বিকেল সাড়ে চারটে৷ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জেনারেল আরোরার কাছে আত্মসমর্পন করলেন পাক সেনা প্রধান নিয়াজি ৷ মুক্তিযুদ্ধে বিজয়৷ সাফল্য এসেছিল ভারতীয় সেনার৷ তার পর কেটে গিয়েছে অনেকগুলি বছর৷ কিন্তু, আজও ম্লান হয়নি সেদিনের স্মৃতি। প্রতি বছর এই দিনটি পালন করা হয় সেনার বিজয় দিবস হিসাবে। চলতি বছর কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ পালন করবে ভারতীয় সেনা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

advertisement

বাংলাদেশ থেকে এই বিশেষ অনুষ্ঠানে শামিল হতে এসেছেন ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষের এই অনুষ্ঠান, এমনটাই মনে করছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। তাই প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশের সঙ্গে পূর্ণ মর্যাদায় বিজয় দিবস পালন করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে সেনাবাহিনীর অভ্যর্থনায় একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া ৩০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা কলকাতায় এসেছেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে এবছরও বাংলাদেশের ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা জানাল ভারতীয় সেনাবাহিনী। অন্যান্য বারের মত এবারও ভারতীয় সেনা বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে তাঁদের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠান ছাড়াও এবছরও বাংলাদেশের ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ৬ জন সামরিক কর্মকর্তাকে সংবর্ধিত করবে ভারতীয় সেনাবাহিনী । এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভারতীয় সেনাবাহিনী ইস্টার্ন কমান্ডের এসসি এমজিজিএস মেজর জেনারেল ভি শ্রীহরি ও কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান ।

advertisement

অনুষ্ঠানে ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেছেন, ‘‘৫০ বছর আগে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এই যুদ্ধে ভারত সরকারের কাছ থেকে আমরা সর্বরকম সমথর্ন পেয়েছি। তাদের নৈতিক, কুটনৈতিক ও বৈষয়িক সমর্থন পেয়েছি। তাঁরা আমাদের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিল। এই জন্য আমি ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী, সামরিক সংস্থাসহ ভারতের জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের এই মহান ত্যাগে আমি গর্বিত।’’

advertisement

তৌফিক হাসান বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যে সকল মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান তিনি।মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক তাৎপর্যের প্রতি জোর দিয়ে মেজর জেনারেল শ্রীহরি বলেন, এটি জনগণের আকাঙ্খা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য সামরিক পদক্ষেপের সাথে ভারতের সমর্থনের একটি খুব ভাল উদাহরণ, যা একটি নতুন জাতি সৃষ্টির লক্ষ্যে পরিচালিত হয়েছিল। জেনারেল শ্রীহরি বলেন, ”এই বিজয়ের কৃতিত্ব অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষ এবং সব বাহিনীকে সমানভাবে ভাগ করতে হবে। বিজয় দিবস এমন একটি বিশেষ অনুষ্ঠান যেখানে আমরা সব বাহিনী, মুক্তিবাহিনী তথা বাংলাদেশের মুক্তি যোদ্ধা এবং জনগণের ত্যাগের কথা স্মরণ করি।’’ বিজয় দিবস উপলক্ষে ফোর্ট উইলিয়ামে এক বিশেষ প্রর্দশনীর আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে জেনারেল নিয়াজির ব্যবহৃত মার্সিডিজ গাড়ি, অস্টিন গাড়ি, পিটি ৭১ ট্যাংক, আর্মড কার-সহ একাধিক গাড়ি রাখা হয়েছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বিজয়াতেই ঘরে ঘরে 'টিকা'র প্রস্তুতি! গোর্খাদের এই উৎসব বাঙালির খুব চেনা
আরও দেখুন

আবীর ঘোষাল

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
আগামিকাল বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান পালন ফোর্ট উইলিয়ামে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল