শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে বিদায়ের সুর শোনা গেল উপাচার্যের গলায়। সমাবর্তনের মঞ্চে আচার্যের পাশে বসেই অভিমান ধরা পড়ল সুরঞ্জন দাসের ভাষণে। গত বছরের সমাবর্তন মঞ্চে আচার্যকে তিনি কথা দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে আর আন্দোলন হবে না। কিন্তু সমাবর্তনের পর পরই ছাত্রভোটের দাবিতে টানা ঘেরাও চলে যাদবপুরে। এরপরও একাধিকবার অধ্যাপকদের আন্দোলনে সরগরম হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। আর তাই এদিনের সমাবর্তনের মঞ্চে নিজের অভিমান শেষ পর্যন্ত প্রকাশ করেই ফেললেন সুরঞ্জন দাস। ছাত্রছাত্রীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দিয়ে সমাবর্তন ভাষণের একেবারে শেষে জানিয়ে দিলেন, দায়িত্ব পালন করতে না পারলে অব্যাহতি চেয়ে নেবেন। প্রয়োজনে পদত্যাগও করবেন।
advertisement
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য থেকে শুরু করে একাধিক আমন্ত্রিত অতিথিদের সামনেই এই বার্তা দেন সুরঞ্জন। ছিলেন ছাত্র-ছাত্রীরাও। আর উপাচার্যের এই মন্তব্যের পরই শিক্ষামহলে জল্পনা। একাংশের অবশ্য দাবি, আন্দোলন মুখর বিশ্ববিদ্যালয়কে বার্তা দিতেই ইস্তফা মন্তব্য করে একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিলেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বশাসনে সরকারি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে এদিন প্রতীকি প্রতিবাদ জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক সংগঠন ও পড়ুয়ারা।
প্রশ্ন উঠছে, তবে কি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোথাও উপাচার্যের সংঘাত তৈরি হচ্ছে? কাজ করতে গিয়ে কি কোথাও বাধা পাচ্ছেন? সরকারই বা কীভাবে দেখছে উপাচার্যের এই মন্তব্যকে?