একাধিক অ্যাম্বুলেন্স এমনকী প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা পূর্ণেন্দু বসুর কনভয়ও দেখা গেল থমকে রয়েছে যানজটে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বরাহনগর মেট্রো স্টেশন লাগোয়া এয়ারপোর্টগামী যাত্রাপথের। একাধিক জায়গায় রাস্তার কোনও অস্তিত্বই নেই। একেবারে কঙ্কালসার চেহারা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরুপায় হয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষজনকে। বৃষ্টিতে আরও শোচনীয় অবস্থা হয়। বড় বড় গর্তে জমে থাকে জল। কবে ঘুঁচবে ভগ্নদশা? প্রশ্ন আমজনতার। যানজটে আটকে থাকা অবস্থাতেই নিউজ এইট্টিন বাংলার প্রতিবেদকের মুখোমুখি হন তৃণমূল নেতা পূর্ণেন্দু বসু। যন্ত্রণার কথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি দুষলেন কেন্দ্রকে। আর বরাহনগর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিকের অভিযোগ, দায়সারা মনোভাব ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার। ফি বছর বর্ষার মরসুমে চলাচলের প্রায় অনুপযুক্ত এই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের বেহাল দশা সামনে আসে। অথচ কোনও হেলদোল নেই তাদের। তাঁর দাবি, 'রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। তাঁর নিশানায় ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া( NHAI )। একপ্রকার বিপদকে সঙ্গী করেই বর্তমানে এই সড়কপথই ভরসা অনেকের কাছেই। বিশেষ করে অফিস টাইমে যাত্রীবাহী বাস ও অন্যান্য যানবাহনের এতটাই চাপ থাকে ষে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে অনেকে পৌছতেই পারেন না। এই আতঙ্কের যাত্রাপথ থেকে কবে নিস্তার মিলবে? উত্তর অজানা সাধারণ মানুষের কাছে।
advertisement
NHAI কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, 'মেট্রো রেল সম্প্রসারণের কাজের জন্য কিছুটা দুর্ভোগ হচ্ছে। শীঘ্রই প্যাচওয়ার্কে হাত লাগানো হবে। যে সমস্ত অংশের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় সেই সমস্ত যাত্রাপথ শীঘ্রই মেরামত করা হবে'। সাধারণ মানুষ চাইছেন, এর আগেও বহুবার প্যাচওয়ার্ক হয়েছে। অত্যধিক যানবাহন, বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে কদিন পরেই ফের একই দশা হয়। প্যাচওয়ার্ক করে জোড়াতালি নয়, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের আমূল সংস্কার প্রয়োজন। বলছেন ভুক্তভোগীরা। এখন দেখার কত দিনে হতশ্রী বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রী ফেরে! ভোগান্তি শেষ হয় ঝুঁকির এই যাত্রাপথের।