১২ নভেম্বর উত্তরকাশীতে টানেলে ধস নামার সময় অন্যান্য ৩৮ জন শ্রমিকের সঙ্গেই সেখানে আটকে পড়েছিলেন বাংলার তিন শ্রমিক৷ কোচবিহারের বাসিন্দা মানিক তালুকদার, হুগলির হরিণখালির শৌভিক পাখিরা এবং হুগলিরই নিমডাঙ্গির বাসিন্দা জয়দেব পরমাণিক৷ সূত্রের খবর, ওঁদের তিনজনকেই সুস্থ ভাবে অবরুদ্ধ টানেল থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে৷
ইতিমধ্যেই বাড়িতে ফোন করে মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন শৌভিক৷ মাকে ফোন করে শৌভিক জানিয়েছেন, তিনি ভাল আছেন৷ আগে যেমন ছিলেন, ঠিক তেমনই আছেন৷ শৌভিকের মা বলেন, ‘‘আমি জানতাম আমার ছেলে ঠিক ফিরে আসবে৷ ছেলে বলেছে আমার কিছু হয়নি৷ আমার মন-শরীর সব ঠিক আছে৷ তা-ও ও বলল ওদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে৷’’
advertisement
এরপরেও শৌভিকের মা জানান, তবুও ছেলে যতক্ষণ না বাড়ি ফিরছেন ততক্ষণ তিনি উৎকণ্ঠায় থাকবেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ওকে যতক্ষণ না স্পর্শ করছি, যতক্ষণ না ও আমার হাতের খাবার খাচ্ছে, নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছে, আমাকে মা বলে ডাকছে, ততক্ষণ তো উৎকণ্ঠায় থাকবই৷’’
আরও পড়ুন: র্যাট হোল মাইনার্স-এর কামাল! উত্তরকাশীর টানেল থেকে বেরিয়ে এলেন শ্রমিকরা
অন্যদিকে, টানেল থেকে বের হওয়ার পরেই বাড়িতে ভিডিও কল করে বাবা-মা-স্ত্রী সহ বাকিদের সঙ্গে কথা বলেন হুগলিরই বাসিন্দা জয়দেব৷ জয়দেবের বাবা তাপস পরামাণিক বলেন, ‘‘কথা কিছুই শুনতে পাইনি৷ ওঁর মুখটা দেখেই শান্তি পেয়েছি৷ ওঁর স্ত্রী খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল৷ ডাক্তার স্যালাইন দিতে বলেছিল৷ এখন ও মনে অনেকটা বল পাবে৷’’ জয়দেবের মুক্তির খবর আসার পরেই জয়দেবের পাড়ায়, তাঁর বাবার চায়ের দোকানে শুরু হয়ে যায় মিষ্টিমুখ৷