ভবানীপুরের গিরিশ মুখার্জি রোড। মহানায়ক উত্তমকুমারের পাড়া। তাঁর স্মৃতিবিজড়িত বাড়ির পাশেই এখনও হাজার স্মৃতি বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে গিরিশ ভবন। এ পাড়ার রাস্তা যাঁর নামে, সেই বাবু গিরিশ মুখার্জির বাড়ি।
এই বাড়ির সঙ্গেই জড়িয়ে উত্তমকুমারের নাম। গিরিশ ভবনের ঠাকুরদালান জানে পাড়ার ছেলে অরুণকুমারের উত্তমকুমার হয়ে ওঠার গল্প।
দুর্গাপুজো মানেই মুখার্জি বাড়িতে যাত্রার মহড়ার শুরু। জগদ্ধাত্রী পুজোয় হত অভিনয়। রাত বারোটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত চলত যাত্রা। বাড়ির মহিলাদের কাপড় দিয়েই তৈরি হত স্টেজ। পালা নির্বাচন থেকে অভিনয়...সবকিছুর দায়িত্বে উত্তমকুমার। ব্রজের কানাই, স্বয়ংসিদ্ধা, গয়াসুরবধ, নটি বিনোদিনী...একের পর এক যাত্রায় অভিনয় করেছেন মহানায়ক।
advertisement
সেসময়ে পরিবারের মহিলারা অভিনয় করতেন না। উত্তমকুমারের নায়িকা হতেন পরিবারের পুরুষরাই।
১৯৭৫ সালে গিরীশ ভবনে শেষ অভিনয় উত্তমকুমারের। তখন সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘সন্ন্যাসী রাজা’ । ভিড় সামাল দিতে বন্ধ করতে হয় অভিনয়।
উত্তমকুমারের অভিনয়ের স্মৃতি মাথায় রেখে আজও নাটক করে মুখোপাধ্যায় পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম।
কলকাতায় থাকলে প্রতিবছর অষ্টমীতে এখানে অঞ্জলি দিতে আসতেন উত্তমকুমার। আজও বাঙালির চিরদিনের নস্টালজিয়ায় আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গিরিশ ভবনের পুজোর ঠাকুরদালান।
