উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্য পদ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া আদালতের বিচারাধীন। গত বছর পুজোর আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশন উচ্চ প্রাথমিকে মেধাতালিকা প্রকাশ করলেও সেই মেধা তালিকায় গরমিল ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ তোলেন প্রার্থীদের একাংশ। সেই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পর হাইকোর্ট উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। অন্যদিকে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন চালিয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং তার জন্য ছাড়া লকডাউনের সময়েই ভার্চুয়ালি বিভিন্ন মাধ্যমকে ব্যবহার করে আন্দোলন করেছেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা।
advertisement
বিভিন্ন সময় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফেসবুক পেজে পোস্ট করে ও দ্রুত নিয়োগের আর্জি রাখেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। যদিও শিক্ষা মন্ত্রী উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে পুরোটাই হাইকোর্টের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। নিজের ফেসবুক পেজে আন্দোলনকারী ছাত্রদের উদ্দেশ্যে সেটাও লিখে জানিয়েছেন। এমনকী উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুনানি যাতে দ্রুত হয় তার জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেন।
কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সময় নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ পরবর্তী সময়ে তুলে দিলেও কমিশনের সদর দফতরে বিভিন্ন জেলা থেকে চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে এসে কাউন্সেলিং করানো যে সম্ভব নয় তা একপ্রকার নিশ্চিত হয়েছে এসএসসির আধিকারিকরা। আর তাই দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সেলিংয়ের যে নিয়ম ছিল সেই নিয়মকে বদল করে পুরো কাউন্সেলিং প্রক্রিয়াকেই অনলাইন করতে চায় এসএসসি।
কমিশন সূত্রে খবর, হাইকোর্ট উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ তুলে দিলে অনলাইনে অর্থাৎ বাড়িতে বসেই পছন্দসই স্কুল বাছাইয়ের সুযোগ যাতে পান চাকরিপ্রার্থীরা সেরকম এই সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
SOMRAJ BANDOPADHYAY