কিন্তু সেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া আপাতত শুরু করে দিলেও শেষ করতে পারছে না কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য শিক্ষক অধ্যাপক পর্যাপ্ত পাওয়া যাচ্ছে না। পুজোর ছুটি থাকায় অনেকেই বাইরে রয়েছেন। তাই তা পিছিয়ে কালীপুজোর ছুটির পরেই পুরোদমে শুরু করা যাবে। দুর্গাপূজার ছুটি শেষে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সদর দপ্তর খুললেই চাকরি ব্যক্তিদের ইন্টারভিউ এর তারিখ ও সময় জানিয়ে দেওয়া হবে বলেই জানা গেছে এসএসসি সূত্রে। কমিশন এর আধিকারিকরা আশা করছেন সে ক্ষেত্রে নভেম্বর মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রস্তুত করতে পারবে কমিশন। ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্য পদ রয়েছে এই উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের জন্য।
advertisement
আরও পড়ুন: 'পাঙ্গা নিতে যেও না!' দলের নেতাদেরই হুমকি বিধায়ক হুমায়ুনের, অস্বস্তিতে তৃণমূল
দীর্ঘ ৮ বছর ধরে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। উচ্চ মাধ্যমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে প্রথম দফায় মেধা তালিকায় অস্বচ্ছতা ও গরমিল থাকায় কলকাতা হাইকোর্টের মেধা তালিকা বাতিল করে দেয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন করে ফের উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। চাকরিপ্রার্থীদের ভেরিফিকেশন ও তারপর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াও শুরু করে কমিশন। বাতিল করা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য গ্রিভেন্স সেলও তৈরি করে এসএসসি হাইকোর্টের নির্দেশে। সেই গিবেন সালে অভিযোগ আসার নিরিখে এসএসসি খতিয়ে দেখার পর ১৩০০ বেশি চাকরিপ্রার্থীদের পাওয়া যায়, যারা ইন্টারভিউ দেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। সবমিলিয়ে ১৫৮৫ জন চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়া এখনও বাকি রয়েছে কমিশনের।
আরও পড়ুন: মমতাকে অসম্মান করলে শেষ দেখে ছাড়বেন, শুভেন্দুকে হুঁশিয়ারি দিয়ে হঠাৎ সক্রিয় শোভন
পুজোর ছুটির আগে আগেই হাইকোর্টের তরফে এই চাকরি প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়ার সবুজ সংকেত পায় কমিশন। তারপরে ইন্টারভিউ নেওয়ার ব্যাপারে তৎপরতা শুরু করলেও ফের বাধা কমিশনের। ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক অমিল হওয়ায় ফের পিছিয়ে যাচ্ছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া। কমিশন এর আধিকারিকদের মতে নভেম্বরের শেষের দিকেই উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা চূড়ান্ত করে হাইকোর্টের কাছে দেওয়া হবে। হাইকোর্ট সম্মতি দিলেই মেধা তালিকা প্রকাশ করে দেবে কমিশন।