প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগ নিয়ে যে দাবি উঠেছে সেই তথ্যকেই প্রাথমিক মান্যতা দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবিষয়ে রাজ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে ফের আদালত অবমাননার অভিযোগের মুখোমুখি হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও রাজ্য সরকার ৷
মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যের দাবি,‘প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ অগ্রাধিকার পেয়েছে প্রশিক্ষণহীনরা ৷ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি ৷ যেমন, পশ্চিম মেদিনীপুরে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থী থাকা সত্ত্বেও তাদের বদলে নিয়োগে অগ্রাধিকার পেয়েছে প্রশিক্ষণহীনরা৷’
advertisement
এই সংক্রান্ত নথিও আদালতে পেশ করেছেন মামলাকারীদের আইনজীবী ৷ প্রশিক্ষণহীন নিয়োগের তথ্যকে প্রাথমিক মান্যতা দিলেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আদালতের নির্দেশ হলফনামা দিয়ে পর্ষদকে এবিষয়ে জবাবদিহি করতে হবে ৷
ইটিভি নিউজ বাংলাকে পর্ষদের আইনজীবী রাতুল বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘কিছু সংরক্ষিত আসনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যোগ্য চাকরিপ্রার্থী না পেয়ে প্রশিক্ষণহীনদের নিযুক্ত করা হয়েছে ৷ সব আসনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাওয়া যায়নি ৷ তাই নিয়ম মেনে এমন নিয়োগ করতে হয়েছে ৷ হলফনামায় সব তথ্যই তুলে ধরব আমরা ৷’
৷ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ১০ জেলার ১৫০ জন প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা ৷ বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় মামলাকারীদের আবেদন শুনে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন ৷
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্যানেল প্রকাশে এমন ঢাক গুড়গুড় অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উৎকন্ঠিত চাকরিপ্রার্থীরা ৷ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রথম থেকেই অস্বচ্ছতার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বহু টেট উত্তীর্ণ ৷ এবার পর্ষদের প্যানেল প্রকাশ করা নিয়ে গড়িমসি সহ একাধিক প্রশ্ন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ১০ জেলার প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা ৷
দীর্ঘদিন ধরেই আইনি জটিলতায় প্রাথমিকে নিয়োগ আটকে ছিল। বিচারপতি সিএস কারনানের নির্দেশে প্রাথমিক টেটের ফল প্রকাশ হয়। তারপরই দোসরা ফেব্রুয়ারি থেকে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে শুরু হয় নিয়োগ প্রক্রিয়া। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়ার বেশ কিছু পদ্ধতিতে আপত্তি জানিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টে মামলা হল।
প্রাথমিক নিয়োগে কেন মামলা?
-সম্পূর্ণ নিয়োগ তালিকা অপ্রকাশিত কেন?
- জেলা ভিত্তিক প্রশিক্ষিতদের ভাগাভাগি কেন?
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ তথ্য কেন এসএমএসে দেওয়া হচ্ছে?
- ইমেলে কেন নিয়োগ পত্র দেওয়া হবে?
-প্রশিক্ষিতদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে না কেন?
এমনই একাধিক প্রশ্ন তুলে ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে মামলা করেন প্রশিক্ষিত নিয়োগ প্রার্থী প্রসেনজিত দত্ত-সহ কয়েকজন। দশ জেলার প্রশিক্ষিতরা হাইকোর্টে মামলা করেন ৷