দীর্ঘদিন গৃহবন্দী দশা কাটিয়ে শহরের রাজপথে মাস্ক ছাড়া মানুষের বিপদ আরও বাড়াবে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসক শুদ্ধসত্ত্ব চট্টোপাধ্যায় জানান, পুলিশের মাস্ক বিতরন খুবই সাধুবাদ যোগ্য, তবে দীর্ঘদিনের লকডাউনের পরেও এই সচেতনতা থাকা খুবই দরকার ছিল। পুলিশের দেওয়া মাস্ক পুলিশ সামনে থাকলে মুখে, না থাকলে পড়বে তো ? পাম্পে হেলমেট ছাড়া তেল মিলবে না বলে পাম্পেই হেলমেট নিয়ে বাইক আরোহী। এটাও সেই অভিজ্ঞতার মতই।
advertisement
মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া হল মাস্ক। নিউ আলিপুর থানা, ভবানীপুর থানা, নিউ মার্কেট থানা, পূর্ব যাদবপুর ট্রাফিক গার্ড, কসবা ট্রাফিক গার্ডেও দেখা গেল মাস্ক বিতরন করতে। পূর্ব যাদবপুর ট্রাফিক গার্ডের অফিসার ইন চার্জ সঞ্জয় সিং জানান, 'কলকাতা পুলিশের তরফে আজ মাস্ক দেওয়া হল, সাধারণ মানুষ যেন সুরক্ষিত থাকেন। করোনা ভাইরাসকে হারাতে গেলে সামান্য এই সুরক্ষা বিধি মেনে চলতেই হবে'। একইভাবে কসবা ট্রাফিক গার্ডের অতিরিক্ত অফিসার ইন চার্জ সুজিত ঘোষ জানান, 'ট্রাফিক পুলিশ ও রাজ্য সরকারের তরফে এই মাস্ক বিতরন৷ এই মাস্ক যাতে সাধারন মানুষ ব্যবহার করেন ও করোনা ভাইরাসের প্রকোপ যেন রুখতে পারে। নিউ আলিপুর থানার অফিসার ইন চার্জ অমিত শঙ্কর মুখোপাধ্যায় জানান, 'মাস্ক দেওয়া যেম হল তেমন মাস্ক না থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে'। নিউ মার্কেট থানা অফিসার ইন চার্জ সুপ্রিয় পাল জানান, 'সরকারের তরফে এই কর্মসূচি, বারবার জানানো সত্বেও মাস্ক নিয়ে সচেতনতা ফিরছে না, তাই আবার মনে করিয়ে দেওয়া হল'। শহরের বিভিন্ন জায়গায় এইভাবেই মাস্ক বিতরনের জোর দেওয়া হল সচেতনতা ও সর্তকীকরণে।
Susovan Bhattacharjee