মঙ্গলবার লোকসভায় আবারও রাজ্যের বকেয়ার দাবিতে সরব হন সুদীপ বন্দোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন, আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও দেখা করেননি কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী। সুদীপের এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হন পঞ্চায়েত মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। তিনি জানান, সেদিন দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পরেও তাঁর ঘরে আসেননি তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। মন্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর নামে মিথ্যা বদনাম দেওয়া হচ্ছে। একজন সন্ন্যাসিনীর নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার জন্য মহুয়ার এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
advertisement
পরে সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন গিরিরাজ সিং। সেখানেই সুদীপকে গিরিরাজ বলেন, ” মুখ্যমন্ত্রীকে বলুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে। এ ছাড়া কোনও রাস্তা নেই। ” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবার সংসদে রাজ্যের ইস্যু তুলে ধরার কৌশল নিয়েছে ইন্ডিয়া জোট তথা তৃণমূল। নিরঞ্জন জ্যোতি অভিযোগ করেন, আসলে রাজ্যের মানুষের দুর্দশা দুর করা নয়, এসব মিথ্যে অভিযোগ করে রাজনীতির রুটি সেঁকতে চায় তৃণমূল।
আরও পড়ুন: পর পর দু’ বার কেঁপে উঠল ঝাড়গ্রাম, ভূমিকম্প না অন্য কিছু? শীতের রাতে জেলা জুড়ে আতঙ্ক
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি যে তথ্য এ দিন সংসদে পেশ করেছেন, তাতে অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছেন রাজ্য বিজেপি-র নেতারাই৷ কারণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যেই স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে সবথেকে বেশি ভুয়ো জব কার্ড বাতিল হয়েছে বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশেই৷ শুধু উত্তর প্রদেশ নয়, এই তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্য৷ সেই তুলনায় ভুয়ো জব কার্ডের ক্ষেত্রে সংখ্যার নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ৷
এই তথ্য সামনে আসার পরেই পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল৷ ভুয়ো জব কার্ড নিয়ে এ দিন লোকসভায় প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ ওরফে দেব৷ ঘাটালের তৃণমূল সাংসদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি জানান, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি ভুয়ো জব কার্ড বাতিল হয়েছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তর প্রদেশে৷ সংখ্যার নিরিখে যা ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ৪৬৪৷ ২০২১-২২ অর্থবর্ষে যা ছিল ৬৭, ৯৩৭৷ অর্থাৎ এক বছরেই যোগী রাজ্যে ভুয়ো জব কার্ডের সংখ্যা বিপুল পরিমাণে বেড়েছে৷