অন্যদিকে, জোকা-বিবাদী বাগ নিয়ে সমস্যা চলছেই ফলে সে অর্থে বাজেটে অর্থের সংস্থান নেই। জোকা থেকে বিবাদী বাগ প্রকল্পে বারবার সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে জমি। জমি জটে কাজ এগোনো যায়নি৷ পরবর্তী সময়ে কাজ শুরু হলেও মাঝেরহাটের পরে কাজ নিয়ে দোলাচল জারি আছে। যদিও ময়দান চত্বরে শুরু হয়েছে মাটি পরীক্ষার কাজ৷ ময়দান মার্কেটের হকারদের পুনর্বাসন নিয়ে চলছে আলোচনা। ফলে কাজ ধীর গতিতে এগোনোর আশা রয়েছে। ২০০৯ সালে ঘোষিত প্রকল্প ১৩ বছর ধরে যে অবস্থায় আছে, তার জন্যে বাজেটে সে অর্থে বরাদ্দ হয়নি বলেই মনে করছে রেল। ফলে গত বছরও এই প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৩৫০ কোটি। চলতি বছরেও বরাদ্দ হয়েছে ৩৫০ কোটি।
advertisement
আরও পড়ুন: ৩৩১ কেজি বেল কাঠ-৬০ কেজি ঘি, তারাপীঠ মন্দিরে চলছে অনুব্রতর আয়োজিত মহাযজ্ঞ
নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর, দীর্ঘ এই পথের কাজ শুরু হয়েছে প্রায় ১০ বছর আগে। কখনও নিউটাউন, কখনও ই এম বাইপাস, কখনও হলদিরাম চত্বরে জমি অপ্রতুলতায় কাজ বারবার আটকেছে। একাধিকবার বদল করতে হয়েছে নকশা। অবশেষে একাধিক জায়গায় জমি জট কাটলেও সে অর্থে কাজের গতি দেখা যায়নি। তবে চলতি বছরে গতবারের তুলনায় বেড়েছে বরাদ্দ করা অর্থ। গতবার দেওয়া হয়েছিল ৩২৮ কোটি। এ বার দেওয়া হয়েছে ৩৫০ কোটি।
অন্যদিকে, নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর হয়ে বারাসাত অবধি কাজ চলছে। তবে বিমানবন্দরের পরে বারাসাত অবধি কাজের গতি অনেকটাই শ্লথ হয়ে আছে। গত বছর এই অংশে বরাদ্দ ছিল ৫২০ কোটি টাকা। চলতি বছরে তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ৫০৬ কোটি টাকা। তবে বরানগর থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত বিটি রোড ধরে আশা দেখছেন না কেউই। তবে এই প্রকল্পে বরাদ্দ আছে ১০ কোটি। রেলের আধিকারিকদের বক্তব্য যখন যেমন অর্থ মিলবে তেমনই কাজ হবে। তবে সব জট কেটে গেলে অর্থের পরিমাণও বেড়ে যাবে।
ABIR GHOSHAL