TRENDING:

ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কারের সুপারিশ সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর

Last Updated:

ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
 #কলকাতা: ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী। সংবাদমাধ্যমে দলবিরোধী মন্তব্যের জেরে সর্বসম্মতভাবে সিপিএমের রাজ্যসভার এই তরুণ সাংসদকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর। এর আগে ব্যক্তিগত জীবন ও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ ওঠে ঋতব্রতর বিরুদ্ধে। গড়া হয় তদন্ত কমিশন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটি এখনও কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিচারাধীন ৷
advertisement

ঋতব্রতর বহিষ্কার প্রসঙ্গে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের দল অন্য দলের মতো নয় ৷ দলের চিরাচরিত প্রথা মেনে সিদ্ধান্ত ৷ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ আছে ৷’

নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলে বিপত্তি বেড়েছে তরুণ সাংসদের। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে, ঋতব্রতকে এর আগেই দল থেকে বহিষ্কারের দাবি তোলে দলেরই একাংশ। বেশ কয়েকমাস ধরেই ঋতব্রতকে নিয়ে সমস্যায় ভুগছে দল ৷ ঋতব্রতর ব্যক্তিগত জীবনযাপন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দলে প্রশ্ন উঠেছিল। শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তিন মাস সাসপেন্ডও ছিলেন কমরেড।

advertisement

সুবক্তা। বাংলা তো বটেই, ইংরেজি ও হিন্দিতেও দখল। শিক্ষিত। পড়াশোনাও আছে। ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যসভায় পাঠানোর সময় এসব গুণই তুলে ধরেছিল সিপিএম। কিন্তু, কিছুদিন যেতে না যেতেই শুরু হয় অভিযোগের পালা। আলিমুদ্দিন তো বটেই, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ ওই সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ গিয়ে পৌঁছয় গোপালন ভবনের টেবিলে।

ঋতব্রত বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?

advertisement

- বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন ঋতব্রত

- দাবি মোবাইল ও দামি ঘড়ি ব্যবহার করেন

- এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এক দলীয় কর্মী

- ক্ষুব্ধ সাংসদ নিজের প্যাডেই ওই কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র লেখেন

- ওই কর্মী যে সংস্থায় চাকরি করেন সেখানে অভিযোগপত্র পাঠিয়ে দেন

- ঋতব্রত দলের খবর সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করে দেন

advertisement

- বেহিসেবী ও অসংযমী জীবনযাপন করেন

- ঋতব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী

- অভিযোগ করেন একাধিক মহিলাও

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বিজয়াতেই ঘরে ঘরে 'টিকা'র প্রস্তুতি! গোর্খাদের এই উৎসব বাঙালির খুব চেনা
আরও দেখুন

অভিযোগের সুর চড়া হতেই ঋতব্রতকে সতর্ক করে দল। মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে গঠন করা হয় একটি তদন্ত কমিশন। তাঁকে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। তাতেই ঋতব্রত বদলাননি বলেই অভিযোগ ৷ সংবাদমাধ্যমে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি ৷ এরপরই এদিনের এই সিদ্ধান্ত ৷ রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সর্বসম্মতিতে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/Uncategorized/
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কারের সুপারিশ সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর