আদতে কনৌজের বাসিন্দা। কনৌজের পঞ্চ কায়স্থের একজন দত্তরা। ব্যবসার কাজে পরিবারের প্রথম পুরুষ জগৎরাম দত্ত কলকাতায় এসে ঘাঁটি গাড়েন। এই বংশেরই গোবিন্দরামের নামে তৈরি হয় গোবিন্দপুর। যিনি বিদ্যাসাগরের বিধবা বিবাহের অন্যতম সমর্থক ছিলেন। হাটখোলার দত্ত বাড়ির পুজো পার করেছে তিনশ বছর।
ইতিহাস ও পুজো মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে দত্ত বাড়িতে। ঠাকুর দালানে প্রতিমার একচালার মাধুর্য। একটা সময় স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ভিড় করত দত্ত বাড়িতে। গোপন মিটিংও কম হয়নি। এই বাড়ির দৌহিত্র সুভাষ চন্দ্র বসু। তাই আজও বিসর্জনের পরে পরিবারের সদস্যরা দেশপ্রেমের গান গাইতে গাইতে ঘরে ফেরে।
advertisement
একটা সময় কুলগুরুর নামে সংকল্প হত। বাড়ির সদস্যরা পূষ্পাঞ্জলি দিতেন নবমীর দিনে। বাহ্যিক আড়ম্বর একেবারেই ছিল না। এখনও সেই প্রথা মেনেই পুজো হয়। আড়ম্বর কমলেও প্রথা পুরোপুরি বজায় আছে।
কলকাতার দুর্গাপুজোয় হাটখোলার দত্তবাড়ি আজও ঐতিহ্য বহন করে আসছে। যা ইতিহাস আর কৃষ্টিকে সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে এগিয়ে নিয়ে চলছে।