সেই খসড়া নীতিতে উপাচার্য নিয়োগে আচার্যকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়ার থেকে শিক্ষাক্ষেত্রের বাইরের ব্যক্তিদের উপাচার্য করা নিয়ে এবার সাফাই দিলেন ইউজিসির চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সমাবর্তন উৎসবে এসে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে আচার্যকে যে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সেটি সমস্ত রাজ্য রাজ্যগুলিকে মান্যতা দেওয়া উচিত। ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষা নীতিকে মান্যতা দিয়ে খসড়া তৈরি হয়েছে। তবে তিনি বলেন এটি নতুন কোনও বিষয় নয়, ২০১০ সালের আগে একই ভাবে উপাচার্য নিয়োগের দায়িত্ব একজন আচার্য তথা রাজ্যপালের উপরের ন্যস্ত থাকত বলে জানিয়েছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: কী অবস্থা! ইউনূসের জমানায় এবার নামই পাল্টে যাবে বাংলাদেশের! নতুন নাম কী হবে? শুনে চমকে উঠবেন
শিক্ষাবিদ ছাড়াও শিল্পপতি থেকে শুরু করে বেসরকারি ফার্মের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরাও উপাচার্য হতে পারবেন প্রসঙ্গে ইউজিসির চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষার পরিসর এখন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। একাধিক অভিমুখ তৈরি হয়েছে। সেখানে একজন শিক্ষাবিদ ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরাও নজির গড়ছেন। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে বাইরে ব্যক্তিদেরও উপাচার্য পদের জন্য জায়গা দেওয়া হয়েছে।রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এখন ইউজিসির বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এই প্রসঙ্গে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, এখন ইউজিসি বরাদ্দ রুসা ফান্ডের মাধ্যমে দেওয়া হয়। এখন এটা অনেক প্রতিযোগিতামূলক হয়ে গেছে। এটাকে দয়া করে কেউ প্লেটে সাজানো খাবার ভাববেন না, যে চাইলাম আর পেয়ে গেলেন। ইউজিসির সমস্ত নিয়ম, ন্যাক এ সন্তোষজনক গ্রেড ও অন্যান্য মাপকাঠিতে সফলভাবে উত্তীর্ণ হলে, নিজেকে প্রমাণ করলে তবেই ওই ফান্ড পাওয়া যাবে।
আইআইটি-তে একের পর এক পড়ুয়া আত্মহত্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ইউজিসি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন , এটা সত্যি খুবই উদ্বেগজনক ঘটনা। এক্ষেত্রে আমাদের নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।