বুধবার প্রশ্নোত্তর পর্বে অতিরিক্ত প্রশ্ন করতে গিয়ে এ দিন বিধানসভায় উদয়ন গুহ জানান, "ফোন করে বলা হচ্ছে লটারি লেগেছে। ব্যাঙ্ক থেকে বলছি কেওয়াইসি করতে হবে। এই বলে তথ্য সংগ্রহ করে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে। এই ভাবে প্রচুর মানুষ সর্বশান্ত হয়ে পড়ছে। একজন গ্রাহক একটা মোবাইলের সিমকার্ড নিতে গেলে নিরাপত্তার কথা বলে গ্রাহকের কাছ থেকে অনেক নথি চাওয়া হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। অথচ প্রতারকরা এত নম্বর সংগ্রহ করে কীভাবে? অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট দফতরের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। গ্রাহক দের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে উদ্যাগ নেওয়া হোক।"
advertisement
আরও পড়ুন: বিশ্বজনীন দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু! কলকাতার উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিমে কোথায় কী হচ্ছে?
জবাবে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী মানস ভুইঁয়া জানান, "ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে দফতরের আধিকারিক পর্যায়ে। কিন্তু এর সঙ্গে বেশ কয়েকটি বিভাগ যুক্ত আছে। পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে এক ছাতার তলায় এনে আলোচনা করে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হবে। তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে।" পরবর্তী সময়ে উদয়ন গুহ বলেন, "বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দিতে আসার সময় ফেসবুকে দেখে এই রকম প্রতারণার কথা জানতে পারি। বিধানসভায় এসে দেখি ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী রয়েছে। প্রশ্নোত্তর পর্ব চলার সময় অতিরিক্ত প্রশ্ন করি তাঁকে। কমবেশি এই সমস্যায় সবাইকে পড়তে হয়। একদিন আমার কাছেও এরকম ফোন এসেছিলো। বলছিলো ব্যাঙ্ক থেকে ফোন করছি বলে তথ্য চাইছিলে। আমি ব্যাঙ্কের নাম, শাখার নাম ও সেই ব্যক্তির নাম জানতে চাই। ফোনের ওপারের মানুষটি সম্ভবত বুঝতে পেরেছিলো। সঙ্গে সঙ্গে ফোনটি কেটে দেয়।"
সতর্ক ভাবে ফোন ব্যবহার করার জন্য ব্যাঙ্ক, পুলিশ, ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়ে থাকে। এর পরেও প্রতারণা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। বিধায়কের কথায় মন্ত্রীর উদ্যোগে প্রশাসন যদি কড়া পদক্ষেপ করতে পারে তাহলে অনেক মানুষ উপকৃত হবে। এমনটাই মনে করে ওয়াকিবহলমহল।
UJJAL ROY