কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষা হল না মধ্যবিত্ত পরিবারের এই দুই সন্তানের৷ বাগুইআটি থেকে অপহৃত একজনের দেহ পাওয়া গেল বসিরহাটে৷ একজনের নাম অতনু দে, অন্য জন অভিষেককে এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ৷ পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, পরিচয়হীন যে দেহগুলি বিভিন্ন জেলার মর্গে রয়েছে, সেগুলি এতটাই ডিম্পোসড হয়ে গিয়েছে যে এখনও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি৷ সব মিলিয়ে পরিস্থিতি দেখে কার্যত ভেঙে পড়েছে এই দুই ছাত্রের পরিবার৷ অভিষেকের পরিবারের তরফে সকালে দাবি করা হয়, তাঁদের বাড়ির ছেলের দেহও উদ্ধার করা হয়েছে৷ পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, পুলিশে যথা সময়ে অভিযোগ জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ আর কেনই বা তাঁদের পরিবারের দু’জন সদস্যকে অপহরণ করা হল, কার শত্রুতা, কীসের সমস্যা, কিছুই বুঝতে পারছেন না পরিবারের লোকেরা৷
advertisement
পুলিশের কাছে ঘটনাক্রমের যে তথ্য রয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, গত মাসের ২২ তারিখে বাগুইআটির জগতপুর খাল ধারের বাসিন্দা দুই ছাত্র বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপরেই তাদের পরিবারের কাছে এক কোটি টাকার মুক্তিপন চেয়ে মেসেজ আসে। তারপরে পরিবারে তরফে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানানো হয়। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ কোনও রকম ভাবেই সাহায্য করেনি। গতকাল রাতে পুলিশের তরফে জানানো হয় অতনু দে নামে নিখোঁজ এক ছাত্রের দেহ মিলেছে বসিরহাটে। পরে, মঙ্গলবার পাওয়া যায় অভিষেকের মৃত্যুর খবর৷ যদিও পরে পুলিশ দাবি করে, দ্বিতীয় ছাত্রের দেহ এখনও চিহ্নিত হয়নি৷ এর পরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মৃতের পরিবার থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি, পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিলে ছাত্রদের পাওয়া যেত। এ ভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষার ছাত্রের মৃত্যুর খবর মিলত না।
আরও পড়ুন: অমিত শাহের নির্দেশে বিএসএফের নজরদারিতে গরু পাচার কমেছে... পরিসংখ্যান তুলে ধরে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর
আরও পড়ুন: কর্মবিরতি ঘিরে তোলপাড় হাইকোর্ট! মঙ্গলেও আইনজীবীদের শোরগোল চরমে, উত্তপ্ত আদালত চত্বর
এদিকে এলাকার পড়ুয়ার এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন এলাকার মানুষেরা৷ এলাকার মানুষের সন্দেহ, এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে সত্যেন্দ্র চৌধুরীর বাড়িকে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষেরা৷ উন্মত্ত জনতা বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলেও অভিযোগ৷ তার পরেই খুনের অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ সত্য়েন্দ্র চৌধুরী এখনও পলাতক৷ বাসন্তী হাইওয়েতে এঁদের খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারও করেছে অভিযুক্তরা৷ অভিজিৎ বলে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো ঘটনা প্রকাশ্যে আসে৷
অনুপ চক্রবর্তী