ধৃতের মধ্যে একজন পোস্টাল দফতরে অস্থায়ী কর্মী। বাংলাদেশী নাগরিকদের ভুয়ো পরিচয় পত্র তৈরি করে পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ধৃতদের বিরুদ্ধে। এখনও পর্যন্ত ৩৭টি পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
আরও পড়ুন: ভারত-বিদ্বেষের ফলে নয়া সঙ্কটে বাংলাদেশ! ইউরোপে ঢোকা বন্ধ হতে পারে, মাথায় হাত বাংলাদেশিদের
পুলিশ সূত্রে খবর, দীপক দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোস্টাল থানা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ডাক বিভাগের অস্থায়ী কর্মী। আর সমরেশ বিশ্বাস বারাসতের কাজি পাড়ার বাসিন্দা। সমরেশ, ছেলে রিপন বিশ্বাসের মিলে ভুয়ো পরিচয় পত্র তৈরি করতেন এবং পাসপোর্ট তৈরি করিয়ে দিতেন বলে অভিযোগ।
advertisement
দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে চক্র চালাচ্ছেন সমরেশ বিশ্বাস, এমনটাই অনুমান পুলিশের। এর আগে দিল্লি পুলিশের হাতেও গ্রেফতার হয়েছিলেন সমরেশ। পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে ২৫০টির বেশি পাসপোর্ট তৈরির তথ্য পেয়েছে।
সূত্রের দাবি, এক একটি পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার বিনিময়ে কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকা করে নিত এই চক্র। পাসপোর্ট চক্রে এনআইএ-র হাতে ধৃত লিটন চক্রবর্তীর সঙ্গে এই সমরেশের যোগাযোগ রয়েছে বলে সূত্রের দাবি। পাসপোর্ট চক্রের তদন্তে কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের অফিসারদের নিয়ে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত সামনে ৩৭টি পাসপোর্ট এলেও আরও অনেক পাসপোর্ট তৈরি ও হস্তান্তর হয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
