তবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মৃত দুই শিশুর অ্যাডিনো পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল বলেই খবর৷ এদের মধ্যে একটি শিশুর নাম শেখ শামিম৷ ৬ মাস বয়সি এই শিশুটিকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি উলুবেড়িয়া হাসপাতাল থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছিল৷ গতকাল রাত ৭টা নাগাদ শিশুটির মৃত্যু হয়৷
আরও পড়ুন: ১৮ দিন ধরে ইকমো সাপোর্টে থাকা ৫ বছর বয়সি শিশুর প্রাণ বাঁচাল কলকাতার হাসপাতাল
advertisement
অন্যদিকে হুগলির বাসিন্দা সঞ্চিতা বারিক নামে ৬ মাস বয়সি একটি শিশুও এ দিন ভোর রাতে মারা যায়৷ অ্যাডিনো আক্রান্ত এই শিশুকন্যার বাড়ি হুগলিতে৷ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিশুটিকে চুঁচুড়া ইমামবড়া হাসপাতাল থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছিল৷ দুটি শিশুরই অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর৷ শিশু দুটিকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল৷
আরও পড়ুন: ভর্তি আইসিইউ, প্রয়োজন আরও ভেন্টিলেটর! বি সি রায় শিশু হাসপাতালে অ্যাডিনো আতঙ্ক
অন্যদিকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বি সি রায় শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সম্রাট বিশ্বাস নামে দশ মাস বয়সি এক শিশুরও এ দিন সকালে মৃত্যু হয়৷ বনগাঁর বাসিন্দা ওই শিশুটি আগেও বি সি রায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল৷ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল৷ বাড়ি ফিরে ফের ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শিশুটির শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়৷ পরিবারের সদস্যরা তাকে প্রথমে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে৷ ১৩ দিন বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর শিশুটিকে গত ৬ মার্চ বি সি রায় হাসপাতালে রেফার করা হয়৷
শিশুটির সর্দি, কাশি এবং জ্বর ছিল৷ তার উপর ফুসফুসে সংক্রমণ ছিল শিশুটির৷ হাসপাতালে সূত্রে খবর, শিশুটির ফুসফুসে ফুটো ছিল৷ সেই কারণে তার অস্ত্রোপচারও হয়েছিল৷ সেই অস্ত্রোপচার থেকেই সংক্রমণ ছড়ায়৷ লিভারেও সমস্যা ছিল শিশুটির৷
পর পর শিশু মৃত্যুর ঘটনার মধ্যেই এ দিন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের এক প্রতিনিধি দল বি সি রায় হাসপাতাল পরিদর্শনে যায়৷ প্রতিনিধি দলে ছিলেন কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়, অনন্যা চট্টোপাধ্যায় সহ কমিশনের আরও দুই সদস্য৷