জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই চিকিৎসক জি এস ভট্টাচার্য করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলেন কলকাতার আমরি হাসপাতালে। গতকাল থেকে অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। কিন্তু তাতেও সুরাহা হয়নি। মৃত্যু হয়েছে বিশিষ্ট এই চিকিৎসকের। অপরদিকে, আসানসোল জেলা হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের প্রধান অলোক মুখোপাধ্যায়ও সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হন। তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু শনিবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনিও। দুই ডাক্তারবাবুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া রাজ্যের চিকিৎসক মহলে।
advertisement
দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর থেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে চিকিৎসকদের মৃত্যু হয়েই চলেছে। এই মৃত্যুমিছিল শুরু হয়েছিল ২০২০ সাল থেকে। গত মঙ্গলবারই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছি আরও দুই চিকিৎসকের। তাঁদের মধ্যে একজন প্রবীণ হলেও, আরেক জনের বয়স ছিল মাত্র ৪৭ বছর। ডা. পার্থ প্রতীম লাহা এবং ডা. প্রশান্ত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতেও আঁতকে উঠেছিলেন অনেকে।
ডা. পার্থ প্রতীম লাহা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। টানা ১০ দিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। কিন্তু তারপরই অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। শেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। টিকা নিলে করোনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও অসুখের ভয়াবহতা অনেক কম থাকবে। বিশেষজ্ঞদের এই দাবিকেই যেন প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে ডা. লাহার মৃত্যু।
এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবারই মৃত্যু হয়েছে ৮৪ বছরের প্রবীণ চিকিৎসক ডা. প্রশান্ত মুখোপাধ্যায়ের। হাওড়ার এই প্রবীণ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। আবার, কয়েক দিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল চিকিৎসক অনুপ মুখোপাধ্যায়ের। তিনিও গত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে কোভিশিল্ডের (Covisheild) দুটি ডোজ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
