উত্তরবঙ্গে হুহু করে ভাইরাল সংক্রমণ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে এই দুই শিশুর মৃত্যু ভাইরাল ফিভারে নয় বলে দাবি হাসপাতাল সুপারের। তবে সামগ্রিক ভাবে এই নিয়ে গত ৯ দিনে ১ বালক সহ ১৫ জন শিশুর মৃত্যু হল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন হাজার অভিভাবক।
পাল্লা দিয়ে শিশুদের জ্বর বাড়ায় চাপ বাড়ছে হাসপাতালেও। পরিসংখ্যান বলছে, এই মূহূর্তে শিশুদের ১৫৬ বেডে ১৩৯ জন ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ জন শিশু বিভাগে, এসএনসিইউ-তে ৫৭জন। পিআইসিইউ ওয়ার্ডে ১৭জন ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত ৬৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৪২ জন শিশু ভর্তি হয়েছে এই হাসপাতালেই। যার মধ্যে ১৩জনই ভাইরাল ফিভার নিয়ে ভর্তি।
advertisement
আরও পড়ুন-‘প্রধানমন্ত্রী পুষ্টি’ প্রকল্পের আওতায় মিড ডে মিল, সুবিধা পাবে ১১ কোটিরও বেশি শিশু
উল্লেখ্য ৩ থেকে ৫ দিনের বেশি জ্বর হলে, শিশু .স্বাভাবিকের থেকে অর্ধেক পরিমাণ খাবার খেলে, দিনে পাঁচবার এর কম প্রস্রাব হলে, শ্বাসকষ্ট শুরু হলে, ঘরের সভাবিক তাপমাত্রায় ৯২শতাংশের এর নীচে অক্সিজেনের মাত্রা নেমে গেলে শিশুদেরকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তির পরেও কয়েকটি পদক্ষেপ বেঁধে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।হাসপাতালে ভর্তির পর-শ্বাসপ্রশ্বাস, রক্তচাপ, জ্বর নিয়মিত মনিটর করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সিম্প্টমেটিক রিলিফের জন্য প্যারাসিটামল দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পর্যাপ্ত জল খেতে হবে শিশুকে। প্রয়োজনে স্যালাইন দেওয়া, প্রয়োজনে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
হিটেড হিউমিডিফায়েড হাই ফ্লো নেজালক্যানুলা দিয়ে মিনিট ১-২ লিটার অক্সিজেন দিয়ে ৯২-৯৬-এর মধ্যে অক্সিজেন স্যাচুরেশন রেখে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। প্রায়োরিটি গ্রুপকে দ্রুত অসেল্টামিভির দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।