TRENDING:

ভয়ে মুখ লুকিয়ে ঘরে বসে আছে দুই খুদে, ঐশানী আর সূর্যাভ, দুজনেই ঘাতক পুলকারেরযাত্রী 

Last Updated:

এখনও পলাতক শামিম আফরোজ আখতার

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: ভয় শুধু ভয়। তাকে ঘিরেই ঘর অন্ধকার করে মুখ লুকিয়ে বসে আছে দুই ক্ষুদে। ঐশানী আর সূর্যাভ,, দুজনেই ঘাতক পুল কারের মধ্যে ছিল। প্রাণে বাঁচলেও, আতংক কাটিয়ে উঠতে পারছে না ক্লাস ২ এর দুই পড়ুয়া। পুলকার নিয়ে অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয় ঐশানীর। এক মাস আগেই এই পুলকারে তার হাতের আঙুল ভেঙে যায়। রবিবার সকালে তার ডান হাতের ভাঙা আঙুল দেখিয়ে নিজের যন্ত্রণার গল্প শোনাচ্ছিল সে। একদিন স্কুলে যাওয়ার পথে, হঠাৎ করেই তার গাড়ির দরজা তার হাতের ওপরে বন্ধ করে দেয়।
advertisement

প্রচন্ড যন্ত্রণা নিয়ে চিৎকার করলেও কান দেয়নি ড্রাইভার কাকু। সেদিন অবশ্য গাড়ি চালাচ্ছিল বিশ্বজিত। খবর পেয়ে যখন ঐশানীর মা পৌছয়, ততক্ষণে একরত্তি মেয়ের হাতের আঙুল গেছে ভেঙে। অভিযোগ পুলকার হলেও গাড়িতে থাকত না কোনও প্রাথমিক চিকিৎসার ওষুধ।  মেয়েকে নিয়ে তখন থেকেই চিন্তায় ছিলাম। যাতায়াতের অসুবিধা বলে মেয়েকে পুলকারে করে পাঠাতাম। এখন অবশ্য আর মেয়েকে ওই স্কুল গাড়িতে আর পাঠাব না। চোখের জল মুছতে মুছতে বলছিলেন ঐশানীর মা ডলি পাল। তার মেয়ে অবশ্য গাড়ির নাম শুনলেই একেবারে ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকছে। সেদিনের গল্প শোনাতে গিয়ে সে বলছিল, কাকু প্রচন্ড জোরে গাড়ি চালাচ্ছিল।

advertisement

তারপরেই কিছুতে একটা ধাক্কা লাগল। আমাদের গাড়ি তারপর উড়ে গিয়ে পড়ল ওই পুকুরের মধ্যে। এখনও হাতে, পায়ে, চিবুকে অজস্র কাটা দাগ আর রক্ত জমাটের চিহ্ন ঐশানীর শরীর জুড়ে। একই দশা শেওড়াফুলির সূযাভ। শুক্রবার সকালে ক্লাস ২ এর সরকার পাড়ার এই ক্ষুদেকে সেদিন গাড়িতে তোলে পবিত্র। যদিও পবিত্র চালাচ্ছিল একটা টাটা সুমো। ঘটনা যখন ঘটে তখন দেখা যায়, একটা ক্রুজার গাড়ি দুঘটনা ঘটে। আর সেই গাড়ি চালাচ্ছিল পবিত্র। এই রহস্যের উন্মোচন করেছে সূর্যভ। সে জানিয়েছে, বৈদ্যবাটির একটা পেট্রোল পাম্পে তাদের টাটা সুমো থেকে নামিয়ে অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। বদলে যায় চালক, গাড়ি চালাতে শুরু করে পবিত্র। তবে শুধু একদিন নয় প্রায় প্রতিদিন এমন ঘটনা ঘটে বলে জানাচ্ছে দুই পড়ুয়াই।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

একইসঙ্গে তাদের বক্তব্য, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথেও বদলে যেত গাড়ি। কখনও গাড়ি চালাত বিশ্বজিত কখনও পবিত্র কখনও আবার হীরা। শুধু চালক বদল নয়, বদলে যায় গাড়ি অবধি। আর এই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। অভিযোগ আরও অনেক জনের পবিত্রের ব্যবহার নিয়ে। পবিত্র গাড়িতে কথা বললেই প্রচন্ড বকাবকি করত। এছাড়া ছাত্র ছাত্রী দের নাম ও ঠিকানা অবধি যথাযথ ভাবে জানত না বলে অভিযোগ ডলি পাল ও পাপিয়া ভট্টাচার্য। এনারা দুজনেই ঐশানী ও সূর্যভ অভিভাবক। তবে এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি শামিম আফরোজ আখতারের। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে হুগলি জেলা পুলিশ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
ভয়ে মুখ লুকিয়ে ঘরে বসে আছে দুই খুদে, ঐশানী আর সূর্যাভ, দুজনেই ঘাতক পুলকারেরযাত্রী 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল