দীর্ঘদিন সম্পর্ক ছিল না। হঠাতই শুক্রবার কড়েয়ায় দূর সম্পর্কের বোনের বাড়িতে হাজির হয় নীরজ। তার অভিসন্ধির কথা ঘুন্নাক্ষরেও টের পাননি তাঁরা। দিনভর টু-কে রাধাগোবিন্দ সাহা লেনের বাড়িতে কাটিয়ে সন্ধেবেলা পাঁচ বছরের ভাগ্নে ও ছ বছরের ভাগ্নীকে চকোলেট কিনে দেবে বলে বাইরে নিয়ে যায় নীরজ। রাতে একা বাড়ি ফিরে আসে। জানায় , বাচ্ছাদের আগেই বাড়ির সিঁড়ির সামনে ছেড়ে দিয়ে গেছে সে। সন্দেহ হওয়ায় সেদিনই নীরজকে কড়েয়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
advertisement
নীরজকে জেরা করে আসল তথ্য সামনে আসে। জানা যায় বাচ্ছাদের নিজের বান্ধবীর হাতে তুলে দিয়েছে নীরজ। তদন্তে নামে পুলিশ।
বাড়ি থেকে শিশুদের নিয়ে বেরিয়ে বান্ধবী খুশবুর হাতে তুলে দেয় নীরজ ৷ তাদের নিয়ে হুগলি হয়ে শ্রীরামপুর চলে যায় খুশবু ৷ শ্রীরামপুরের খটিকবাজারে এক ভাড়া বাড়িতে বাচ্ছা দুটিকে রাখা হয় ৷ শনিবার তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে কড়েয়ার বাড়িতে ৷ দেড় লক্ষ টাকায় রফা হয় ৷ কিন্তু অপহরণকারীদের কথা মত হাওড়া স্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্ম ও কোন্নগর স্টেশনে গিয়ে তাদের দেখা পাওয়া যায় না ৷ অপহরণকারীদের ফোনও বন্ধ হয়ে যায় ৷ যোগাযোগ করা হয় কোন্নগরের জিআরপির সঙ্গে ৷ প্ল্যাটফর্ম থেকে উদ্ধার হয় শিশু দুটি
পুলিশের দাবি, পেশাদার নয়। তাই শেষ মুহূর্তে ভয় পেয়ে পিছিয়ে যায় অপহরণকারীরা। খুশবুর মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে খটিকবাজারের ভাড়া বাড়ি থেকে খুশবু , খুশবুর ভাই সাজাহান আলি ও সানিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, শ্রীরামপুরের বাসিন্দা বাইশ বছরের খুশবু দশ বছর ঘরছাড়া। বিয়ের পর নতুন ব্যবসা শুরু করতে চায় নীরজ ও খুশবু। সেই রসদ জোগাড় করতেই অপহরণের ছক বলে জেরায় জানিয়েছে ধৃতরা। আগে কড়েয়ায় এসে রেইকিও করে যায় দুজনে।