TRENDING:

৩৪৩ বস্তা রেশনের চাল চুরি করে কালোবাজারি, কাশিপুরে ধৃত দুই ব্যবসায়ী

Last Updated:

গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যবসায়ীকে জেরা করে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে কোথা থেকে এত পরিমাণ চাল এল তাদের কাছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: রাজ্য সরকারের তরফে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে খাদ্যশস্য বা অন্য কোনও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ে কেউ যেন কালোবাজারি না করে। কালোবাজারির প্রমাণ পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। রেশনের মাধ্যমে দেওয়া চাল চুরি করে মজুত ও বিক্রির অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
advertisement

একটু আধটু নয় একেবারে ৩৪৩ বস্তা রেশনের চাল চুরি করে মজুত করে রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সন্তোষ আগড়ওয়াল এবং আমির আনসারি নামে তার এক সহযোগীকে। দু'জনকেই শুক্রবার রাতে কাশীপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। ধৃতদের বিরুদ্ধে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের কালোবাজারির অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। যদিও শনিবার ধৃতদের শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।

advertisement

এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সূত্রে খবর, ধৃত দুই ব্যবসায়ী চালের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু কীভাবে তাদের কাছে রেশনের এত পরিমাণ চাল এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, গণবণ্টন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কেউ এই চাল বেআইনিভাবে এই চাল ব্যবসায়ীকে বিক্রি করেছে। সেই চালই মজুত করে রাখা হয়েছিল কাশীপুরের একটি গুদামে। কিছুদিন মজুত করে রাখার পর রেশনের এই চালের দাম বাড়িয়ে বাজারে বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের।

advertisement

গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যবসায়ীকে জেরা করে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে কোথা থেকে এত পরিমাণ চাল এল তাদের কাছে। কোনও রেশন ডিলার এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

এক পুলিশ অফিসার বলেন, "চিৎপুর রেল ইয়ার্ডের একেবারে কাছেই থাকা গুদামঘর থেকেই চাল পাওয়া গিয়েছে। রেশনের জন্য রাজ্যে যত চাল আসে তার বেশিরভাগই মালগাড়ি করে চিৎপুর রেল ইয়ার্ডে আনা হয় প্রথমে তারপর সেখান থেকে চাল পাঠানো হয় কলকাতা এবং অন্যান্য জেলায়। সে ক্ষেত্রে চিৎপুর রেল ইয়ার্ড থেকেই এই চালের বস্তা গুলি চুরি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এই চক্রে যেই জড়িত থাক তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।"

advertisement

কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডিসি বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন "উদ্ধার হওয়া চালের গুণমান কি আছে তা জানার জন্য কিছু নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।"

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

পুলিশ সূত্রে খবর, পরীক্ষার রিপোর্টে যদি রেশনে যে গুণমানের চাল দেওয়া হয় তার সঙ্গে কাশিপুরে গুদাম থেকে উদ্ধার হওয়া চালের নমুনা মিলে যায় তাহলে তদন্তের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। তদন্তকারী সংস্থা আদালতে প্রমাণ করতে পারবে রেশনের চালই চুরি করে ওই গুদামে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে তা বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। ফলে এই চক্রের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের সর্বোচ্চ সাজা হবে আদালতে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
৩৪৩ বস্তা রেশনের চাল চুরি করে কালোবাজারি, কাশিপুরে ধৃত দুই ব্যবসায়ী
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল