তাঁদের উড়ানের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে উড়ানের হাত ধরেই। কলকাতার তরুণ দুই স্থপতিই এ বার ভূটানের পারো বিমানবন্দর ডিজাইনের দায়িত্বে। ভূটানের উড়ানের ঠিকানাকে রং দেবেন দুই বাঙালি অয়ন-সৌম্যদীপ।
আরও পড়ুন: দেশের সব মহিলারাই যেন পান লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা, পুজোয় প্রার্থনা সুদীপ-নয়নার
দুই তরুণের সংস্থার নাম 'ভিব্রিজ'। তাঁদের এই স্টার্টআপ এর আগেও নজরকাড়া কাজ করেছিল। যদিও নাম হয়তো তখন অজানা ছিল। পূর্ব বর্ধমানের জৌগ্রামে মডেল গ্রাম জাতীয় পুরস্কারের পাশাপাশি বিদেশের সম্মানও এনে দিয়েছিল ঝুলিতে। সেক্টর ফাইভে প্রস্তাবিত সরকারি প্রকল্প, আইকনিক গেটটির নকশার ভারও তাঁদেরই উপরে। নিউটাউনে থ্রিডি রেলিং ইলিউশন আর্টের ডিজাইনে গোটা কলকাতার মন জয় করেছেন অয়ন-সৌম্যদীপ। কোভিড-সচেতনতার উদ্যোগে কোন্নগরের রাস্তায় তাঁরাই তৈরি করেছিলেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্ট্রিট আর্ট। গত তিন বছর ধরে তিলে তিলে সাফল্য এসেছে তাঁদের কাছে।
advertisement
'ভিব্রিজ'-এর অয়ন নিউজ18 বাংলাকে বললেন, ''ভূটানের নিজস্ব স্থাপত্যকলাকে মাথায় রেখেই ডিজাইন করেছি আমরা। যে কোনও বাড়ি বা বিল্ডিংয়ের বাইরের ডিজাইনে একটা বিশেষত্ব রয়েছে, একদম ম্যানুয়াল হ্যান্ডবুক অনুসরণ করে সেই ডিজাইনটা বানাতে হয়। কিন্তু অন্দরমহলে আমরা আধুনিকতার ছোঁয়া রেখেছি। পৃথিবী তো এগিয়ে চলেছে। তার সঙ্গে তাল মেলাতে হবে। অনেক সুবিধা পাবে মানুষ। কেবল বিমানবন্দর নয়, বিমান যেখানে রাখা হয়, সে সব জায়গাতেও আমরাই ডিজাইন করব।''
আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে আর্মেনিয়ান ঘাট, ইতিহাস-আধুনিকতার ছোঁয়ায় এবার আরও আকর্ষণীয়!
সৌম্য়দীপের জানালেন তাঁদের গোড়ার কথা। তিনি বললেন ''পারো খুবই বিপজ্জনক বিমানবন্দর। অবস্থানের নিরিখে। আর তাই এর সম্প্রসারণের জন্য একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, আর্কিটেক্ট এবং ইঞ্জিনিয়ার ভারত থেকেই নেওয়া হবে। আমরা ভূটানের একটি দলের সঙ্গে হাত মেলাই। সেখানে ভারতের আর্কিটেক্ট এবং ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছিলাম আমরা দু'জন। তার পর নিজেদের কাজের উদাহরণ দেখানোর পর ভূটান সরকার থেকে আমাদের এই কাজের জন্য বেছে নেওয়া হয়।''
আগামী বছরের শুরু থেকেই হাতেকলমে কাজ শুরু করে দেবেন অয়ন-সৌম্যদীপ।