সোমবার রাতে বড়বাজারে ঘিঞ্জি গলির একটি বাড়িতে আগুন লাগে। বাড়ির ছাদে আটকে পড়েন বাড়ির কিছু বাসিন্দা। আগুন লাগার প্রায় দু’ঘণ্টা পরে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার করা গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। দমকলের ২৫টি ইঞ্জিন গিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে গিয়েছে। গভীর রাতের খবর, আগুন তখনও জ্বলছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত দমকলকর্মীদের মতে, প্রচণ্ড ধোঁয়া ও আগুনের তাপের জন্য আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার করতেও অনেক দেরি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বড়বাজার থানা এলাকার ৩ আমড়াতলা লেনে। জায়গাটি বাগড়ি মার্কেটের খুব কাছে। ঘিঞ্জি ওই এলাকার বাড়িতে আগুন লাগার ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আশপাশের বাড়ি থেকেও লোকজন সরতে শুরু করে দেন। দমকলে খবর দেওয়ার পরে, স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেরাই আগুন নেভানোর কাজে লেগে পড়েন। কিন্তু, পুলিশ জানিয়েছে, বহু পুরনো তিনতলা ওই বাড়ির একতলা ও দোতলায় প্লাস্টিক ও জরির ছোট ছোট গুদাম থাকায় সেই আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে তা স্থানীয় মানুষদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি।
advertisement
বাই খারাপ নন, বাকিরা ভাল হোন, বেসরকারি হাসপাতালকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
বুধবার যেখানে শেষ করেছিলেন, সোমবার যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন রাজারহাটে শঙ্কর নেত্রালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাসপাতাল আর কসাইখানা এক নয়। ব্যবসা করতে এলেও সে কথাটা ভুললে চলবে না। হাসপাতালের সঙ্গে প্রোমোটিং-এর ব্যবসাকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না!’’ মুখ্যমন্ত্রী এও জানালেন, ‘‘আমি চাই বেসরকারি হাসপাতালের রোগী শোষণের বিরুদ্ধে এ রাজ্যের সরকার যে ভাবে গর্জে উঠেছে, তা মডেল হয়ে উঠুক গোটা দেশে।’’
অ্যাপোলোর বকেয়া শোধ সঞ্জয়ের স্ত্রীর
যে বকেয়া টাকার জন্য তাঁর স্বামীকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো নিয়ে টানা এক ঘণ্টা টানাপড়েন চলেছে, সেই ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা সোমবার অ্যাপোলো হাসপাতালকে মিটিয়ে দিলেন ডানকুনির রুবি রায়।
ত্রিশঙ্কুর আশঙ্কা, মায়াকে নিয়ে পুরনো কটু মন্তব্য মুছছে বিজেপি
ঢাকঢোল-পুষ্পবৃষ্টি। চারদিকে হই-হই রব। বিজেপির মালাটি তখন সবে গলায় পরেছেন কিরণ বেদী। পাশে জ্বলজ্বল করছে অমিত শাহের মুখ। বিজেপি সভাপতি ভাবছেন, এই কিরণ-তাসেই দুরমুশ হবে অরবিন্দ কেজরীবালের ঝড়। কিরণ বেদীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সেই অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায়, ঘুরপাক খেতে শুরু করে তাঁর পুরনো টুইট। যেখানে এই প্রাক্তন আইপিএস অফিসার জবাবদিহি করতে বলেছেন নরেন্দ্র মোদীকে, ‘আদালত নিষ্কৃতি দিলেও গুজরাত হত্যাকাণ্ডের জবাব দিন নমো।’
হাসপাতাল আর কসাইখানা এক না, ফের তোপ মমতার
হাসপাতাল কসাইখানা নয়। ব্যাবসার জায়গা বা প্রোমোটারিও নয়। একটা করে ফ্ল্যাট বানাব, দাম বাড়াব, আর মোটা টাকায় বিক্রি করব—সেই মানসিকতা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে চলে না। হাসপাতাল সেবা, আত্মত্যাগ ও মানবিকতার জায়গা। সোমবার দুপুরে নিউটাউনে এক বেসরকারি হাসপাতালের অনুষ্ঠানে নরমে গরমে ফের তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রবিবার একটি মেয়ে আমার কাছে কাঁদতে কাঁদতে এসেছিল। বলছিল, ওর ফিক্সড ডিপোজিটও জমা নিয়েছে নার্সিংহোম। এসব বাড়াবাড়ি নয় কি?
ভয়াবহ আগুন, ২৫ ইঞ্জিনেও নেভাতে হিমশিম খেল দমকল
নন্দরাম মার্কেটের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি ফিরিয়ে আগুন লাগল বড়বাজারের ২ ও ৩ অমরনাথ লেনের তিনতলা একটি বাণিজ্যিক ও আবাসিক বহুতলে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আগুন লাগে নাখোদা মসজিদের পাশেই লালবাড়ি নামে পরিচিত বাড়িটিতে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে সেটি। এতে মজুত ছিল ফোম, চট, ক্যারি ব্যাগ, প্লাস্টিকের বালতির মতো বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ। ফলে দ্রুত আগুন ছড়াতে থাকে। আগুনের লেনিহান শিখার গ্রাসে চলে যায় একের পর এক তলা। কয়েক দফায় ঘটনাস্থলে যায় দমকলের প্রায় ৩০টি ইঞ্জিন। কিন্তু, এলাকাটি এতটাই ঘিঞ্জি যে দমকলকে বেগ পেতে হয়। ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি দাঁড়িয়ে থেকে আগুন নেভানোর কাজে তদারকি করেন। আগুনের তাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। একইভাবে আগুন নেভাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন দমকলকর্মীরা। রাত পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি দমকল। বহুতলটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় ফাঁকা করে ফেলা হয় আশপাশের এলাকা। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে একাংশ। শোনা যায় বিস্ফোরণের শব্দও। দমকলমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাড়িটি সম্পূর্ণ জতুগৃহ হয়েছিল। বেআইনিভাবে বাড়ির মধ্যে ব্যাবসা চলত। এ ধরনের বাড়িগুলি সম্পর্কে ভাবার সময় এসেছে। রাতেই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
এক রাতে মাটি কাটিয়ে বাবা, মা’কে পুঁতে দিয়েছিল উদয়ন
বাবা-মায়ের দেহ মাটিতে পুঁততে এক ব্যক্তিকে দ্বিগুণ টাকা পারিশ্রমিক দিয়েছিল উদয়ন। সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরির নাম করে পাশের বাড়ির দারোয়ানের ভাইকে দিয়ে উদয়ন রাইপুরের বাংলোর উঠানে গর্ত খুঁড়িয়েছিল। মনোজ যাদব নামে ওই ব্যক্তি গর্ত খোঁড়ার জন্য ৫০০টাকা পারিশ্রমিক চাইলেও উদয়ন তাকে ১১০০ টাকা দেয়। মাঝরাতের আগে কাজ শেষ করার শর্তে ওই শ্রমিককে সে এক বোতল চোলাই মদও দেয়। উদয়নকে শনাক্ত করার পাশাপাশি পুরো বিষয়টি তদন্তকারীদের কাছে মনোজ ফাঁস করেছে বলে রাইপুরের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন। এদিকে, মায়ের জাল মৃত্যুর শংসাপত্র বের করে উদয়নকে বাড়ি বিক্রিতে সাহায্য করার অভিযোগে রাইপুরের সিভিল লাইন থানার পুলিশ রবিবার তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
হাসপাতালের খয়রাতি নয়, বকেয়া মিটিয়ে বিচারের দাবি সঞ্জয়ের স্ত্রীর
হোক নিম্নবিত্ত পরিবার। কষ্ট করে সারা মাস চলুক। আত্মসম্মানটাই আসল কথা। আত্মমর্যাদায় ভর করে স্বামী সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুর পর জোরের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী বলেছিলেন, আমরা ওই হাসপাতালের কাছ থেকে টাকা ফেরত নেব না। বরং কষ্ট করে হলেও বাকি টাকা জমা দেব। সে কথা রাখলেন রুবি রায়। সোমবার কোলে দু’বছরের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে রুবিদেবী গিয়েছিলেন সেই বেসরকারি হাসপাতালে। যেখানে তাঁর স্বামী সঞ্জয় রায়ের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য। রুবিদেবী, তাঁর আত্মীয় রাজেশ পালসহ বাড়ির অন্যান্য লোকজন যান সেখানে। রাজেশবাবু বলেন, আমরা ‘অভিযুক্ত’ হাসপাতালের কর্তাদের হাতে এদিন ‘বকেয়া’ ২ লক্ষ ৯০ হাজার ৬৪৪ টাকা তুলে দিই। একইসঙ্গে উদ্ধার করেছি হাসপাতালে জমা রাখা আমাদের ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা চেক এবং সমমূল্যের ফিক্সড ডিপোজিট সার্টিফিকেট। রুবিদেবী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আগেও বলেছি, ওই হাসপাতালের কাছ থেকে একটা টাকাও আমি রিফান্ড নেব না।
আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবস
বাজারের থলি বগলে নেওয়ার অভ্যেস ছেড়ে দিয়েছেন নরোত্তমবাবু ৷ প্লাস্টিক ক্যারি ব্যাগে টুকটাক কাঁচা সবজি থেকে চাল-ডাল, অফিস ফেরতা সবই চলে আসে ৷ গিন্নি বললে সদ্য কাটা মুরগি, লাফানো মাছ কিংবা গরম রসগোল্লাও প্লাস্টিকের ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফেরা যায় ৷
বড়বাজারে বিধ্বংসী আগুন
সোমবার রাতে ফের ভয়াবহ আগুন লাগল বড়বাজার থানার ঠিক পিছনেই তিন নম্বর আমড়াতলা লেনের মেহতা বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে ৷
দয়া চাই না, মুখের উপর বললেন রুবি
কড়ি দিয়ে শোক কেনা যায় না ৷ সেই বার্তাই যেন দিলেন রুবি রায় ৷ অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেপ কাছে ২ লক্ষ ৯০ হাজার ৬৪৪ টাকা খরচ মিটিয়ে বন্ধক রাখা ১১টা ফিক্সড ডিপোজিট সার্টিফিকেট ছাড়িয়ে নিয়ে গেলেন মৃত সঞ্জয় রায়ের স্ত্রী রুবি ৷
অঙ্ক পরীক্ষার আগের রাতে বাইক-দৌড়, দু’জনের মৃত্যু
রাত পোহালেই মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা ৷ প্রস্তুতি ফেলে আগের রাতে বন্ধুর বাইকে উদ্দাম গতিতে সওয়ার হয়েছিল পায়েল গুহ (১৬) ৷ রবিবার রাতে কামালগাছি উড়ালপুল থেকে ছিটকে পড়ে মারা গিয়েছে পায়েল ৷ মারা গিয়েছে তার বন্ধু রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷