সর্বভারতীয় সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস’-ও নৈতিক ভাবে রাজ্যের সংগঠনের ওই ধর্মঘট এবং ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচি সমর্থন করেছে। বিভিন্ন রাজ্যের সংগঠনের কাছে তারা আবেদন জানিয়েছে, ধর্মঘট চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গে ট্রাক না পাঠাতে। অন্ধ্রপ্রদেশের দু’টি সংগঠনও পশ্চিমবঙ্গের ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়ে ট্রাক পাঠাবে না বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ। এর জেরে রাজ্যে মাছ, ডিম, বিভিন্ন কাঁচা আনাজ এবং ফলের পাইকারি বাজারে জোগানে টান পড়তে পারে। বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর জোগানও ব্যাহত হতে পারে।
advertisement
পরিবহণ শিল্প বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন। খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে ট্রাক মালিকরা ইএমআই দিতে পারছেন না, বহু গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে, অর্ধেক গাড়ি কাটাইয়ে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। বহু গাড়ির মালিক সবজি বিক্রি করছে। তাদের মতে, ‘‘আমাদের সংসার কীভাবে চলবে। আমাদেরও সংসার রয়েছে, আমাদেরও পুজো রয়েছে। আমাদের দেওয়ালের পিঠ ঠেকে গিয়েছে। এছাড়া আমাদের কোনও উপায় ছিল না। সরকার যদি আগে থেকে ভাবত তাহলে এই পরিস্থিতি হতে না। ধর্মঘট হচ্ছে বুধবার, বৃহস্পতি ও শুক্রবার। ওই ৭২ ঘণ্টা চাক্কা জ্যামের পর আমরা ঠিক করব পরবর্তীতে কী হবে। মোট ৭ লক্ষ ট্রাক ধর্মঘটে যাচ্ছে। মানণীয় মন্ত্রী আমাদের সঙ্গে অনেক কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমাদের সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। একদিকে পুলিশের জুলুম আর অন্যদিকে বিএলআরও-র জুলুম। এর জন্যই এই পথে নামতে বাধ্য হয়েছি।’’