ত্রিপুরায় আজ কের পুজো। আর সেই পুজো উপলক্ষে সকালেই ট্যুইট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। গোটা তৃণমূল দলের এখন পাখির চোখ ত্রিপুরা। তাই শুধু মমতা নন, একই ট্যুইট করেছেন তাঁর দলের সব নেতা মন্ত্রীরা। ত্রিপুরাবাসীকে শুভেচ্ছা জানানো হয় দলের পক্ষ থেকেও। কের কথার অর্থ সীমানা বা গণ্ডি। ত্রিপুরার আদি জনজাতির মানুষ দীর্ঘকাল ধরেই এই পুজো করে আসছেন। গত তিনদিন ধরে এই পুজোর আচার অনুষ্ঠান পালন হচ্ছে। ত্রিপুরাবাসীর মন পেতে এ বার এই পুজোকেই অস্ত্র করছে ঘাসফুল শিবিরের নেতামন্ত্রীরা। শুভেচ্ছাবার্তায় উপচে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়া। বলাই বাহুল্য এক বছর আগে ছবিটা এমন ছিল না।
advertisement
২০২১ বাংলার বিধানসভা নির্বাচনই আসলে চোখ খুলে দিয়েছে তৃণমূলের। পড়শি রাজ্যে সম্প্রসারণের কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে দল। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের বহু নেতা-মন্ত্রী ঘুরে এসেছেন ত্রিপুরা থেকে। আগামিকাল যাচ্ছেন ডেরেক ও'ব্রায়ান। সোমবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়রা। ত্রিপুরা পৌঁছেছেন দেবাংশুও। ক্লাইম্যাক্স হিসেবে ত্রিপুরায় পা রাখবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জোরকদমে চলছে জমি জরিপ। ত্রিপুরার মাটি চষে ফেলছেন আইপ্যাকের প্রতিনিধিরা। মনে করা হচ্ছে, অভিষেক গিয়েই আগামী কয়েক মাসের সাংগঠনের নীল নকশা তৈরি করে দেবেন। আর তার মধ্যেই এই স্লোগান 'আমাদের সাথে পাঙ্গা নিলে, আমরা চাঙ্গা হয়ে যাই' জমে উঠেছে।
তবে পিছিয়ে নেই ত্রিপুরার তিপ্রামোথা। আগরতলা শহরের ভরকেন্দ্রে রাজ প্রাসাদের দেওয়াল জুড়ে লাগানো হয়েছে বিশাল বড় এলইডি স্ক্রিন। সেখানে হাত জোড় করে কের পুজোর শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন মহারাজা প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য। রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে অন্য মন্ত্রীরাও। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায় শুভেচ্ছা জানানোর পরে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চর্চা। এরই মধ্যে অবশ্য শুক্রবার ও শনিবার জুড়ে রাজ্যের একাধিক প্রান্ত থেকে তৃণমূলে যোগ দানের হিড়িক বেড়েছে। সূত্রের খবর, সোমবার অভিষেকের হাত ধরে যোগ দিতে পারেন আরও বেশ কয়েকজন। ফলে ত্রিপুরায় এখন থেকেই চাঙ্গা ঘাসফুল শিবির।
ABIR GHOSHAL