তাঁরা কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি আবারও একইরকম ঘটনা ঘটে, তবে তাঁরা ‘গান্ধিবাদ’ ছেড়ে ‘সুভাষবাদের’ পথে হাঁটতে বাধ্য হবেন। বুধবার ত্রিপুরায় নেমেই গাড়ি সমস্যায় পড়েন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তা সত্ত্বেও দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান, তৃণমূলের প্রতিনিধি দল প্রয়োজনে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছবে, কিন্তু তাদের রোখা যাবে না।
advertisement
আরও পড়ুন: বিরাট ঘোষণা করে দিলেন অমিত শাহ! এসে গেল বড় পরিবর্তন! এবার থেকে আর…দেশজুড়ে প্রবল শোরগোল
এদিকে, বুধবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী শশী পাঁজা ও তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী ত্রিপুরার ঘটনায় বিজেপির সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে বলেন, “ত্রিপুরার অসহিষ্ণু সরকার সেখানকার গণতন্ত্র ধ্বংস করছে। পুলিশের উপস্থিতিতে ভাঙচুর করা হয়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিস। ফ্লপ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কেন্দ্র। পুলিশ বসে সবটা দেখছে। এই গণতন্ত্রের কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী! বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব উস্কানি দিয়েছে। এটা পুরোপুরি স্টেট স্পনসর্ড পলিটিক্যাল টেররিজম। আর পুলিশ দর্শক।”
তাঁরা আরও বলেন, “এ রাজ্যের বুকে বিজেপির পার্টি অফিস আছে, কোনও আক্রমণ হয় না। কেউ আক্রান্ত হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে যান। বিজেপিতে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব পেয়েছেন বিপ্লব দেব, তাই স্কোর কার্ড বাড়ানোর জন্য এই আক্রমণ করেছেন। আগেরবার তৃণমূল নেতাদের খুন করার প্ল্যান করেছিল। এবারও কিছু হলে গান্ধিবাদ ছেড়ে সুভাষবাদ ধরতে হবে।”
এদিকে ত্রিপুরা পৌঁছেই সমস্যার মুখে পড়েন কুণাল ঘোষরা। জানা যাচ্ছে, তাঁদের জন্য় চারটি গাড়ি থাকার কথা ছিল। কিন্তু ৩ টি গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। একটি গাড়িতেই একবারে সকলকে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। সেই কারণে ব্যাগ গাড়িতে পাঠিয়ে তাঁরা হেঁটে যাবেন বলেই জানান কুণাল। পরে অবশ্য সমস্যার সমাধান হয়।