এর আগেও পৌঁছে গিয়েছিলেন লাদাখ। রিকশা চালিয়েই গিয়েছেন পুরীও! তবে এবারের অভিযান আরও দুর্গম। আর এই অভিযানের পেছনে রয়েছে একটা মহৎ উদ্দেশ্য। স্রেফ ভ্রমণের নেশা নয়। প্যাডেল গাড়ির প্রচার করতেই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবেন সত্যেন। প্রতিটি রাস্তায় প্যাডেল প্রেমীদের জন্য সাইকেল লেনের দাবিতে পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্রে পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন গড়িয়ার এই রিকশাওয়ালা।
advertisement
দক্ষিণ শহরতলির গড়িয়া থেকে এ রাস্তার দূরত্ব প্রায় দু’হাজার কিলোমিটার। তিলোত্তমার এঁদো গলির ভ্যাপসা গরম থেকে মাইনাস তিন ডিগ্রি সেলসিয়াসের বরফ ঢাকা রাস্তায় পৌঁছতে ভয় পাচ্ছেন একটু। কিন্তু সাহসও রয়েছে বুক ভর্তি!
করোনা আবহে শারীরিক দূরত্বের নিদান দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। বাস-ট্রামের ভিড় এড়াতে মোটরবাইক কেনার সাধ জেগেছিল অনেকেরই। কিন্তু সেখানে বাদ সেধেছে পেট্রলের দাম! রেকর্ড ভেঙে যা সেঞ্চুরি পেরিয়েছে ইতিমধ্যেই। রিকশাওয়ালা সত্যেন বলছেন, “এমতাবস্থায় সাইকেলই একমাত্র ভরসা। এই যান পরিবেশ বান্ধব শুধু নয়, শরীরও ভাল থাকে সাইকেল চালালে। প্রশাসনের কাছে আমার আবেদন সাইকেল লেন থাকুক প্রতিটি রাস্তায়।” সিয়াচেনের পথে তাঁর তিন চাকার রিক্সাতেও থাকবে তারই প্রচার।
তবে যাত্রাপথের খরচ বিপুল। সব ঠিক থাকলে অক্টোবরেই রওনা দিতে চান সত্যেন। তাঁর অনুরোধ, “সাইকেল প্রেমীরা এগিয়ে আসুন। তাঁদের হয়েই আমি প্রচার করব দীর্ঘ যাত্রাপথের মোড়ে মোড়ে।” উল্লেখ্য, এই সত্যেনকে নিয়ে সিনেমা তৈরি করেছেন ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী। ৬৪ মিনিটের তথ্যচিত্র ‘লাদাখ চলে রিকশাওয়ালা’ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে এক্সপ্লোরেশন অ্যাডভেঞ্চার বিভাগে শ্ৰেষ্ঠ তথ্যচিত্রের পুরস্কারও জিতে নিয়েছে ইতিমধ্যেই।