লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, পঞ্চায়েতের মহিলা আসন সংরক্ষণের মতো ইস্যু নিয়ে ঘরে ঘরে যাবে কমিটি। আগামী সপ্তাহেই ডাকা হচ্ছে বিশেষ বৈঠক। ১ নভেম্বর থেকে জনসংযোগ শুরু করবেন মহিলা কমিটির সদস্যরা। বিরোধীদের জবাব দিতে হাতিয়ার লক্ষ্মী ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী। এদিন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘‘মহিলাদের জন্য একাধিক প্রকল্পে মর্যাদা দেওয়ার কাজ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত স্তরে ৫০% আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর দ্বারা রাজনৈতিক সম্মান পেয়েছে মেয়েরা ৷ সামাজিক সম্মানের জন্যে ২০১৬ সালে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প আনা হয়েছিল। মহিলাদের জন্যে এই সম্মান দেওয়া হয়েছিল। এরকম স্কিম কোথাও নেওয়া হয়নি। অর্থনৈতিক ভাবে মহিলারা স্বাবলম্বী হোক। সেই কারণেই ২০২১ সালে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করা হয়। সামাজিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে কেন্দ্র যখন ব্যর্থ। তখন রাজ্য সেটা করে দেখিয়েছে ৷ মেয়েরাও তার প্রতি আস্থা দেখিয়েছে।’’
advertisement
আরও পড়ুন- শুক্র প্রবেশ করবেন তাঁর আদি ত্রিভুজ রাশিতে; এই তিন রাশির জীবনে আসতে চলছে বড় পরিবর্তন!
তিনি আরও বলেন, ‘‘সরকার গঠনের ক্ষেত্রে মহিলাদের ভূমিকা অস্বীকার করা যাবে না। মহিলা সংগঠন আমাদের শক্তিশালী। লক্ষ লক্ষ মহিলা যুক্ত। ২৩ প্রশাসনিক জেলায় আমাদের সাথে সংযুক্ত। আমাদের সংগঠন শক্তিশালী। আমাদের সংগঠন শক্তিশালী করতে ৫২ জনের নতুন কমিটি গঠন করা হল। বেশ কিছু জেলায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। সাংগঠনিক ৩৬ জেলায় সভাপতিদের গুরুত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। পাহাড়ের শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। ভারসাম্য রক্ষা করে এগোনো হয়েছে। এই সংগঠন আরও বিস্তার করা হবে। ঝাড়গ্রামে বিশেষ দায়িত্বে আনা হয়েছে বীরবাহা হাঁসদাকে। কালিম্পং জেলায় দায়িত্বে এসেছেন সাংসদ শান্তা ছেত্রী। এক্সিকিউটিভ হিসাবে সব মহিলা মেয়র, মহিলা চেয়ারপার্সন, ভাইস চেয়ারপার্সনদের নিয়ে আসা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে মিটিং হবে সকলকে নিয়ে। ১ নভেম্বর থেকে জনসংযোগের রুপরেখা জানিয়ে দেওয়া হবে সেখানে। এই সব সদস্যরা এই তিন ইস্যু নিয়ে পৌঁছবেন।’’