রাজ্যের তরফে উদাহরণ হিসাবে বলা হচ্ছে 'মনরেগা’— গ্রামীণ আবাস যোজনার বকেয়া টাকা তাড়াতাড়ি দেবার জন্য সাংসদেরা দেখা করেছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে। বলেছিলেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দেবেন। ১ মাস পরে যা উত্তর দিয়েছেন তা মোটেই সন্তোষজনক নয়। টাকা আসেনি। বঞ্চনা চলছে। দুর্যোগ বাবদ রাজ্যের ৩২ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে প্রাপ্য হয়ে আছে। বুলবুল, ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতির জন্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া। সুতরাং এই খাতেই ৪২ হাজার কোটি টাকা পাওনা। মুখ্যমন্ত্রীর আগের দুটি চিঠির উল্লেখ করেছি। তা-ছাড়া বারবার তাগাদা দেওয়া হয়েছে।রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, সরকারের বৈমাত্র্যসুলভ আচরণ বারবার বলছি।
advertisement
আরও পড়ুন-হেরিটেজ দুর্গাপুজোর শোভাযাত্রা দেখতে কলকাতায় আসছেন প্রতিনিধিরা, রাজ্যকে চিঠি UNESCO-র
গরীব মানুষের প্রতি আচরণ প্রকট হচ্ছে। বিজেপি শাসিত রাজ্য নয়, এমন জায়গায় আঘাত আনছে। ১০০ দিনের কাজের পাওনা বাধ্যতামূলক। ৩৩% মহিলা সেই কাজ করবেন যা বাধ্যতামূলক। ১৫ দিনের মধ্যে টাকা দেওয়াও বাধ্যতামূলক। ১০০ দিনের কাজ ২২-২৩ অর্থবর্ষে ১.১১ কোটি মানুষের কাছে দিতে পেরেছি। তবুও এই আচরণ চলছে। যে টাকা দেওয়ার কথা ৭১৩০ কোটি টাকা পাইনি ৷ ২৮০০ কোটি টাকা যার কাজ করেছে তারা পায়নি। কেন্দ্র কি চাইছে, গরীব মানুষ কাজ করে যাবে আর কেন্দ্র টাকা দেবে না। এই বছরের জানুয়ারি মাস থেকে টাকা দেয়নি। বাংলার গরীব মানু্ষদের ভাতে মারার চেষ্টা করছে। সেই প্রবণতা বারবার ফুটে উঠছে। বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে সিএম চিঠি দিয়েছেন। এর পরেও কিছু কিছু বিজেপি নেতা বলছেন এখানে নাকি প্যাথেটিক।
আরও পড়ুন-রাশিফল ১০ অগাস্ট; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
শ্রম দিবস তৈরিতে আমরা দ্বিতীয় জায়গায় আছি। নানা অবান্তর কথা বলে গরীব মানুষের টাকা দিচ্ছে না। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা জাতীয় মুখপাত্র সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, বিজেপি নেতারা উসকানি দিয়ে চলেছেন। ১০০ দিনের কাজের হিসেব যা সংসদে দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গকে একটা টাকাও দেওয়া হয়নি। এই বঞ্চনার পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি কাজ করছে বলে অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণে, ৫০ লক্ষ বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। ১১ লাখ ৭৮ হাজার বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা চলতি বছরে আছে। সেই বরাদ্দের অনুমতি আসেনি। ২২৬৫ কিমি রাস্তা তৈরির পরিকল্পনার অর্থ দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার ১৯টি প্রকল্পের নাম বদলেছে। নাম বদলানোর আগে রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। প্রকল্পে আমরা অংশীদার। তাহলে আমাদের সঙ্গে কেন আলোচনা হবে না? আসলে গ্রহণযোগ্য নয় এমন অজুহাত তারা তৈরি করেছে।