দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত বৈঠক, বিরোধী দলগুলির থেকে দলের ‘দূরত্ব’ তৈরি নিয়ে চর্চা ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তৃণমূলকে নিয়ে নানা প্রশ্ন দানা বেঁধেছিল। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির বিরুদ্ধে ‘সর্বাত্মক’ প্রতিবাদের কথা জানিয়ে গোটা বিষয়টিতে অন্য মাত্রা যোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- মাত্র ২৪ ঘণ্টার অপেক্ষা, আগামিকাল হতে চলেছে চেনাব সেতুর গোল্ডেন জয়েন্ট
advertisement
বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দেওয়া হয়, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির আচরণের বিরুদ্ধে পথে নামবে তৃণমূল। তাদের ভূমিকা যথাযথ নয় বলে দাবি করেছে বাংলার শাসক দল। বৃহস্পতিবার সকালে গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অন্যদিকে কয়লাকাণ্ডে সক্রিয় ইডি। শুধু তাই নয়, গত ২৩ জুলাই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। এই আবহে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, তাদের অভিযোগ, বিজেপি বিরোধী হলেই সক্রিয়তা, বিজেপি দলের কেউ হলেই নিষ্ক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির।
আরও পড়ুন- লিভারের ক্ষতি করলে চলবে না, রোজ তাহলে ঠিক কতটা মদ খাওয়া যেতে পারে?
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘‘কোনও অনৈতিকতা ও দুর্নীতিকে দলে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। দলের সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছেন, দুর্নীতিকে কোনও ভাবেই মেনে নেবে না দল। একই কথা বলেছেন আমাদের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই হিসাবেই মানুষের পক্ষে ক্ষতিকর এমন কোনও কাজ করলে, মানুষকে ঠকালে দল কোনও ভাবেই কাউকে সমর্থন করবে না।’’
এর পাশাপাশি তৃণমূলের পক্ষে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকেও আক্রমণ করেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির নিরপেক্ষ আচরণ করা উচিত নয়। কেন্দ্র যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত করছে বলেও আক্রমণ করেন তিনি। সেই সঙ্গে বলেন, ‘‘সিবিআই ও ইডি নিরপেক্ষ চেহারা না দেখানোর জন্য শুক্র ও শনিবার দলের ছাত্র ও যুব সংগঠন জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখাবে।’’