অন্যদিকে, সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজট। অফিস ফেরত মানুষকেও পোহাতে হয় ভোগান্তি। বেশকিছু সময় পর রাস্তা পরিস্কার করতে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। কিন্ত তাঁদের দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। কারণ গাছের সাথে উপড়ে যাওয়া লাইট পোস্টে আলো জ্বলছিল। মানে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল। এরফলে পড়ে যাওয়া গাছ কাটতে পারা যাচ্ছিল না। বেশ কিছুক্ষন পর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আসেন সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মীরা। কিন্তু ততক্ষণে অনেক সময় চলে যায়। যানজট আরো বাড়তে থাকে। মানুষের ধৈর্যচ্যুতি ঘটতে থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার সময় কেমন ছিল রবীন্দ্র সরোবর? কীভাবে ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা? হাড়হিম ভিডিও প্রকাশ্যে
অফিস থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে এই সমস্যায় পড়ে এক বেসরকারি দফতরের কর্মী নিতাই সামন্ত বলেন, কলকাতার বুকে একটা সামান্য গাছ কাটতে এতো সময় লাগলে তো চিন্তার বিষয়। এখনও পুরো বর্ষা বাকি আছে। একটা বড়সড় বিপর্যয় হলে কী করে সামাল দেওয়া হবে?" প্রতিদিনই এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ কুন্ডু। তিনি বলেন, "ঘন্টাখানেক দাড়িয়ে রয়েছি। জরুরি একটা কাজে যাওয়ার ছিলো মিস হয়ে গেলো। বিপর্যয় তো হতেই পারে। কিন্তু সেটা দ্রুত সমাধান করা। আসলে এটা বোঝাপড়ার অভাব। এ বলে আমায় দেখ ও বলে আমায় দেখ। এই যে ডিএমজির টিম দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছে। কিন্তু ইলেক্ট্রিশিয়ান এলো এতো দেরিতে। এরফলে শুধুমাত্র এখানেই দেরি হলো তা নয়। অন্য জায়গাতে যদি কিছু হয় তাহলে সেখানেও যেতে দেরি হবে।"
UJJAL ROY