খড়গপুর আইআইটি'র অধ্যাপক গণপরিবহণ বিশেষজ্ঞ ভার্গব মৈত্র জানাচ্ছেন, ১. গণপরিবহণ ছাড়া এত যাত্রীর যাতায়াতের চাপ সামলানো সম্ভব নয়। দীর্ঘ আট মাস হয়ে গেছে। বাস পরিষেবা শুরু হয়েছে। এবার রেল পরিষেবা শুরু হওয়াটা জরুরী ছিল। রাজ্য সরকার ও রেলকে অসংখ্য ধন্যবাদ রেল পরিষেবা চালু করার জন্য। ২. সোশ্যাল ডিসটেন্সিং মেনে রেল পরিষেবা চালাতে হলে বেশি সংখ্যায় ট্রেন চালাতেই হবে। এর কোনও বিকল্প নেই। রেলের বর্তমান পরিকাঠামোর মধ্যে আরও কত বেশি ট্রেন চালানো যায় তা পর্যালোচনা করা দরকার। ৩. স্টেশন গুলির পরিকাঠামো ও ম্যানেজমেন্টের পর্যালোচনা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার যাতে ট্রেনে ওভারলোডিং যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ৪. অধিক সংখ্যায় যাত্রী যাতায়াত করে এমন স্টেশন গুলির মধ্যে কিছু নন-স্টপ লোকাল ট্রেন চালানো হোক। সমস্ত স্টেশনে থামে এমন ট্রেনের সংখ্যা কিছুটা কমিয়ে নির্দিষ্ট কিছু স্টেশনে থামবে এমন ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হোক। ৫. রাজ্য সরকার ও রেল মিলিত ভাবে আধিকারিক ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি যৌথ কমিটি করুক যারা সমস্ত দিক বিবেচনা করে পরিকাঠামো, ম্যানেজমেন্ট এবং অপারেশন কিভাবে উন্নত করা যায় এবং সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে আরও ভালো পরিষেবা দেওয়া যায় সেই সংক্রান্ত সুপারিশ এবং রূপায়ণে সহায়তা করুক ।
advertisement
এদিন অবশ্য বিভিন্ন বড়, মাঝারি, ছোট স্টেশনের বাইরে দেখা গেছে সরকারি ও বেসরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা। রাজ্য পুলিশ ও রেল পুলিশের তরফ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। বিভিন্ন স্টেশনে মাইকিং করতে শোনা গেছে। তবে দীপাবলির আগে আজ, শুক্রবার অফিস টাইমে ভিড় ছিল অনেকটাই কম। এখন দেখার, আগামী বুধবার থেকে এই অবস্থা কতটা সামাল দেওয়া যায়।
আবীর ঘোষাল