শনিবার সকাল থেকেই হাওড়া, শিয়ালদহ,কলকাতা স্টেশন জুড়ে হাহাকার। অনেকেই ট্রেন বাতিলের জন্য বিপদে পড়েছেন। কারও দীর্ঘদিন বাদে দেশের বাড়ি ফেরার কথা। কারও আবার দেশের বাড়িতে ছেলে মেয়ের বিয়ের জন্য যাওয়ার কথা। কেউ পেয়েছেন নিকট আত্মীয়ের মৃত্যু সংবাদ। তবে সবার ভবিতব্য একই। বিরস বদনে নিজের ঘরে ফেরা।
আরও পড়ুন- 'সিভিক পুলিশের মতোই সিভিক মিলিটারি', 'অগ্নিপথ প্রকল্প' নিয়ে কটাক্ষ সুজনের
advertisement
সকাল থেকেই বিহারমুখী একের পর এক ট্রেন বাতিলের ঘোষণা পূর্ব রেলওয়ের। গোটা দেশজুড়ে এদিন ২১০ টি এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ১৫৯ টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় রেল।
হাওড়া - রক্সৌল মিথিলা এক্সপ্রেস, হাওড়া - গয়া এক্সপ্রেস, হাওড়া - রাজেন্দ্র নগর এক্সপ্রেস, হাওড়া - কাঠগুদাম বাগ এক্সপ্রেস, হাওড়া - জম্মু তাওয়াই হিমগিরি এক্সপ্রেস, হাওড়া - মোকামা এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ - জয়নগর গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেস, কলকাতা স্টেশন - জয়নগর এক্সপ্রেস, কলকাতা - পাটনা গরীব রথ এক্সপ্রেস,কলকাতা - সিতামারী এক্সপ্রেস, মালদা টাউন - দিল্লি ফারাক্কা এক্সপ্রেস, জসিডি - পাটনা এক্সপ্রেস শনিবারের মতো বাতিল করে দেয় রেল।
চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। কেউ ৩ মাস, কেউ ২ মাস আগে থেকে টিকিট কেটে রেখেছিলেন। তাঁদের এখন মাথায় হাত। কর্মসূত্রে টালিগঞ্জ থাকেন বিহারের জয়নগরের বাসিন্দা উপেন্দ্র যাদব। শনিবার শিয়ালদহ থেকে গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেস-এর টিকিট কাটা ছিল তাঁর। দুপুরেই রেলের এস এম এস পান, ট্রেন বাতিল। মাথায় হাত উপেন্দ্র বাবুর।
আরও পড়ুন- ব্যাপক আন্দোলনের আশঙ্কা? এ রাজ্যের স্টেশনে নিরাপত্তা বাড়াতে নির্দেশ কেন্দ্রের!
সেই অবস্থাতেই ট্যাক্সি ভাড়া করে কলকাতা স্টেশনে আসেন জয়নগর এক্সপ্রেস পাওয়া যায় কিনা তা দেখার জন্য। কিন্তু সেই ট্রেনও ক্যান্সেল। মাথায় হাত দিয়ে আবার টালিগঞ্জের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার আগে বলে যান, "আমাদের মতো গরিব মানুষের যে কত ক্ষতি হয়ে গেল, তা আর কে বুঝবে! আন্দোলন করতেই পারে, কিন্তু ট্রেন,রাস্তা অবরোধ করে কী লাভ!" উপেন্দ্র যাদব একা নন, একই প্রশ্ন আরও অনেকেরই।