এই দুর্ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে। দায় কার? কেন নজরদারি বোট ছিল না? এহেন যাবতীয় বিতর্কের মাঝে কীভাবে নিরাপত্তা বজায় রেখে ফের রোয়িং শুরু করা যায়, তা নিয়ে কলকাতা পুলিশ, কেএমডিএ ও লেকের ক্লাবগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এসওপি তৈরির পরই ফের লেকে শুরু হবে রোয়িং। কলকাতা পুলিশের তরফে এমনটা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
advertisement
একই দাবি লেকে হাঁটতে আসা সাধারণ নাগরিকদের। তাঁদের বক্তব্য আর এমন কোনও দুর্ঘটনা যেন না ঘটে। ক্লাবগুলো যাতে সব রকম সুরক্ষাবিধি মেনেই রোয়িং শুরু করুক। নজরদারি স্পিডবোট থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় আধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করুক ক্লাবগুলো দাবি এমনই।
আরও পড়ুন- ভাইরাল ভিডিও: দুর্ঘটনায় বাদ গেছে পা, অদম্য জেদে এক পায়ে লাফিয়েই স্কুল পাড়ি সীমার
তবে নজরদারি স্পিডবোট হিসেবে কী ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে এখনও জট কাটেনি। পরিবেশ প্রেমীদের মতে এই সরোবরের পরিবেশ ও জল দূষণ রুখতে জাতীয় পরিবেশ আদালতের গাইড লাইন রয়েছে। ডিজেল চালিত স্পিডবোট ব্যবহার হলে জলে দূষণ ছড়াতে পারে। তাই পরিবেশ বান্ধব স্পিডবোট ব্যবহারের পক্ষেই মত দিচ্ছেন পরিবেশবিদরা। তবে তাঁরাও চাইছেন সুরক্ষাবলয়ের মধ্যেই শুরু হোক রোয়িং।
আরও পড়ুন- এবার সাভারকারের বায়োপিক! স্বতন্ত্র বীর সাভারকারের ভূমিকায় রণদীপ হুডা!
পরিবেশবিদ সোমেন্দ্রমোহন ঘোষ বলেন, "ডাল লেক এবং হুসেনসাগর লেক দুটির জল নদীর সঙ্গে সংযুক্ত যেখানে রবীন্দ্রসরোবর কোন সোর্সের সঙ্গেই যুক্ত নয়। ডাল লেকের জলকে পুস্ট করছে যেমন ঝিলম নদী, হুসেনসাগরকে পুস্ট করছে মুসী নদী। তাই সেখানে স্পিডবোটের বর্জ্য জ্বালানি তেল নদীর তাজা জলে ধুয়ে যায়। এবার এই কংক্রিট ঘেরা চৌবাচ্চার মত রবীন্দ্রসরোবরকে এই বর্জ্য তেলের ভয়ংকর দূষণের হাত থেকে বাঁচানোর কথাও মাথায় রাখতে হবে। তবে নিরাপত্তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত ক্লাবগুলোর।"
Amit Sarkar